দ্বীন মোহাম্মাদ সাব্বির,স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় যৌতুক হিসাবে বাবার বাড়ি শ্বশুরের নামে লিখে না দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় নার্গিস খাতুন (৩০) নামে এক পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্গিস শ্বশুর ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।আহত অবস্থায় নার্গিসকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নার্গিস সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
ওই দম্পতি অভিযোগ, প্রায় ১১ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। স্বামী শফিকুলের ইচ্ছা না থাকলেও শ্বশুর হাবিবর রহমান, ভাসুর জামাল ও শাহাদত যৌতুকের জন্য নার্গিসকে ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন। যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই নার্গিসকে সইতে হতো নির্যাতন। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে যৌতুক হিসাবে নার্গিসের বাবার বাড়িটি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন শ্বশুরসহ তার স্বজনরা। এতে অস্বীকার করায় শ্বশুর হাবিবর ও দুই জা’সহ বাড়ির অন্যরা তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে বটি দিয়ে ওই গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়া হয়।
স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, ভালোবেসে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করার কারণেই ক্ষুব্ধ বাবা হাবিবর রহমান। যার কারণে তাদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালান তার বাবা ও পরিবারের অন্যরা।
উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ির পাশেই নার্গিসের বাবা ইব্রাহিমের একটি বাড়ি রয়েছে। যৌতুক হিসাবে সেটি লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চাপ প্রয়োগ করছেন শ্বশুর হাবিবুর। বাড়িটি লিখে না দেওয়ায় প্রায়ই নার্গিস ও তার স্বামী শফিকুল নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমনকি নিজের ছেলের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলাও দায়ের করেছিলেন হাবিবুর রহমান। এসব বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশি বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু হাবিবুর কোনো বিচার মানেন না।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, গৃহবধূ নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।