এস,এম,হাবিবুল হাসান :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোয়ারের তোড়ে কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে ভেঙে ফের পাঁচটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে দুই হাজারেরও বেশি মৎস্য ঘের। ধ্বসে পড়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কও। যদিও এখন পুর্ণিমার গোণ ( পুর্ণিমা তিথি) একই সাথে বঙ্গবসাগরে নিম্নচাপ চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়ায় রিং বাধের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, এবারের গোণে হঠাৎ করেই জোয়ারের পানি ৩/৪ফুট বেড়েছে। বাঁধ ছাপিয়ে পানি ঢুকেছে কোন কোন এলাকায়। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের সময়ও এতটা পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি।ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় নেবুবুনিয়ার পুরাতন রিং বাধের দুইটি পয়েন্টে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। কিন্তু আজ দুপুরে ছয়টি পয়েন্টে ভেঙে গাবুরা ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের গাবুরা, নেবুবুনিয়া, চকবারা, লক্ষীখালী ও গাইনবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুই হাজারেরও বেশি মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। ধ্বসে পড়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি। পানি উঠেছে গাইনবাড়ি প্রাইমারী স্কুল ও গাইনবাড়ি হাইস্কুলেও।
এদিকে, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যাতোলা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দূর্গাবাটী ও দাতিনাখালীতেও রিংবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাছুদুল আলম বলেন, এখন ভাটা চলছে (সন্ধ্যা ৭টা)। রাতের জোয়ারে আবারও গোটা এলাকা প্লাবিত হবে। শুক্রবার সকাল ৭টায় স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাধ সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বালুর বস্তা দিতে চেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাসুদ রানা জানান, তারা ঘটনাস্থলে আছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রিং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে রিং বাঁধ দেওয়া সম্ভব হতে পারে।