ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: শ্যাম্পল দেয়ার ১৪ দিন পর ঠাকুরগাঁওয়ে নোভেল করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের ঘটনা ঘটছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুন) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ দিনাজপুর হতে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা হলেন সদর উপজেলায় ২ জন, রাণীশংকৈলে ১ জন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ জন । এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ২০০ জনে।
সেন্ট্রাল ডায়াগষ্টিক সেন্টারের ল্যাব ট্যাকনেশিয়ান পলাশ জানান শাওমি ফোনের সেলস্ সেন্টারের সেলস্ ম্যান বাবু শ্যাম্পল দেয়ার ১৪ দিন পরে জানতে পারেন নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই কথা জানান সদর উপজেলার কিসামত তেওয়ারিগাঁও গ্রামের তন্ময় শাহ, তিনি বলেন গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের জফির উদ্দীন (৭৫) শ্যাম্পল দেয়ার ১৪ দিন পর তিনি জানতে পারেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শহরের গোয়ালপাড়া মহল্লার হারুন অর রশীদ শ্যাম্পল দেয়ার ১৪ দিন পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই অবস্থা চলতে থাকলে ঠাকুরগাঁওয়ে নোভেল করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়বে। একই কথা বলেন শহরের সরকারপাড়া মহল্লার দোলোয়ার হোসেন দিলীপ।
সদর উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী এক চা বিক্রেতা। বড়গাঁও গ্রামের লক্ষীর হাট এলাকার ৪২ বছর বয়সি এক কৃষক। রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামের ২৪ বছরের এক যুবক। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ২৭ বছর বয়সী আরেক যুবক।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান জেলায় এ পর্যন্ত ২০০ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ২ জন।