বদলগাছী(নওগাঁ) প্রতিনিধি ঃ নওগাঁর বদলগাছীতে করোনা উপসর্গে মৃত সাত মাসের অন্তঃসত্বা গৃহবধুর লাশ গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি গ্রামবাসী। তাকে গ্রামে কবর দিতেও দেয়নি। অবশেষে ছোট যমুনা নদীর বাঁধের পাশে কবর দিয়েছে পুলিশ।
বদলগাছী থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউপির তাজপুর গ্রামের মাসুদের মেয়ে নাসরিন ওরফে নাসিমা বেগম(২৫) ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী। ঢাকা থেকে জ¦র, সর্দি নিয়ে গত ২৩ মে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। অবস্থার অবনতি হলে রোববার(৩১ মে) তাকে বগুরা শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। ঐদিন দুপুর দেড় টায় শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি হলে তাকে রাত সাড়ে ৮ টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯ টায় নাসরিন ওরফে নাসিমার মৃত্যু হয়। সে সাত মাসের গর্ভবতী ছিল। রাত ৩ টায় নাসরিন ওরফে নাসিমার লাশ গ্রামে ঢুকলে গ্রামবাসী লাশ দাফনে বাধা দেয়। এরপর এসআই আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় জন পুলিশ সকাল সাড়ে ৭ টায় নদীর ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে লাশ দাফন করে। জানাজার নামাজ পড়ান উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ঈমাম আইয়ুব আলী।
এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, লাশ গ্রামে আসার আগেই গ্রামবাসী লাশ ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ গ্রাবাসীকে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কবর দেওয়ার জন্য কোনো জায়গা দেয়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে লাশটি যমুনা নদীর ধারে কবর দিয়েছি।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, নাসরিন বেগম জ¦র, সর্দি, শা^সকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। করোনা টেষ্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনো পাইনি।
এবিষয়ে বিলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর ইসলাম কেটু বলেন, শুনেছি নাসরিন বেগম করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছে। সে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করত। করোনা উপসর্গ নিয়ে এলাকায় আসেনি। মারা যাওয়ার পর পুলিশ তার লাশ দাফন করেছে।