রাজিবুল ইসলাম রক্তিম,বগুড়া প্রতিনিধি।।
অবশেষে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল (শজিমেক) কলেজে হাসপাতালে চালু করা হলো নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে নভেল করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের পরীক্ষা এর আনুষ্ঠউদ্বোধন করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মুহাঃ ফয়েজ আহাম্মাদ।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলন , হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএস এম সালেহ ভূইয়া বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা, বগুড়া জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মুহাঃ রেজাউল আলম জুয়েল , ডাঃ সামির হোসেন মিশু সহ স্বাস্থ্যবিভাগ এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ।
উত্তরাঞ্চলের মধ্যকেন্দ্র বগুড়া শজিমেক কলেজ হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে নভেল করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের পরীক্ষা ব্যবস্থা চালুর ফলে বগুড়া জেলা ছাড়াও নওগাঁ, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ,নাটোরসহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষেরা নভের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ পাবে।সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে শজিমেকের ল্যাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৯৬টি পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এবং এই পরীক্ষার ফলাফল পেতে মাত্র ৪ ঘন্টা সময় লাগবে।
এর আগে অঞ্চলের সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ ও করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা প্রেরন করা হতো । এতে করে সর্বসাকুল্য সময় লেগে যেত কমপক্ষে ৩/৪দিন। তবে একাধিক জেলার নমুনা পরীক্ষার কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে রিপোর্ট পেতে কমবেশি ৭২ ঘন্টা লেগে যেত। এতে সন্দেহভাজন রোগী এবং তাদের স্বজনদের উৎকণ্ঠা বেড়ে যেত। অন্যদিকে চিকিৎসকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেন। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরের প্রবেশ দ্বারখ্যাত বগুড়ায় শজিমেকের মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে পিসিআর স্থাপনের দাবি উঠতে থাকে। তার পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে এপ্রিলের প্রথম দিকে শজিমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর স্থাপনের কাজটি খুব দ্র্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য ওই বিভাগের একটি কক্ষকে প্রস্তুত করা হয়। সেখানে ৪টি ইনক্লোজার, সিলিং এবং পাশাপাশি দুটি টয়লেটসহ অন্যান্য নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরপর গত ৮ এপ্রিল পিসিআর আনা হয় এবং তা স্থাপনের কাজও শুরু হয়। এর পর ঢাকা থেকে আসা দু’জন অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিনিয়ার পিসিআর যন্ত্রটি পরিচালন পদ্ধতি ল্যাবটেকনিশিয়ানদের হাতে-কলমে শিখিয়ে দেন। এছাড়া কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক তথা চিকিৎসকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কলেজের ১১জন ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং ওই তিন বিভাগের ১৭জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণের কাজটি এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে এমনটি নিশ্চিত করেন শজিমেক এর অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল ।অন্যদিকে হাসপাতালে পিসিআর মেসিন স্থাপন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা ব্যবস্থা চালুর কারনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা ,পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এর দায়িত্বশীলরা ।