সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
শনিবার(১৮ এপ্রিল) খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
এসময় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলার প্রস্তুতি ও বাস্তবায়িত কর্মকান্ড তুলে ধরেন। সেই সাথে তিনি কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের সমস্যা এবং সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি চাষীদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৭ দফা নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ:
১. জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে ভালোভাবে ম্যানেজ করতে হবে।
২. ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. হাটবাজার বড় জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে।
৪. কৃষি উৎপাদন, পরিবহন এবং বাজারজাত যাতে ঠিকমতো হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. করোনা পরিস্থিতির কারণে কৃষি শ্রমিকদের সহায়তা দিতে হবে।
৬. কৃষি এবং জরুরি পণ্যের পরিবহন সচল রাখতে হবে।
৭. সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান খোলা থাকবে।
৮. ওএমএস চালু হবে।
৯. যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১০. অন্য জেলা থেকে যারা আসছে তাদের তালিকাভুক্ত করা এবং হোম কোয়ারেন্টিন শেষে তাদেরকে কৃষি কাজে লাগানো যেতে পারে।
১১. ত্রাণ বিতরণে যারা অনিয়ম দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. মোবাইল কোর্টের আওতায় পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩. প্যাকেটজাত পণ্য পরিবহনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৪. পণ্য প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি খোলা রাখতে হবে।
১৫. উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
১৬. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে।
১৭. মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কথা ভাবতে হবে।