বগুড়া প্রতিনিধি।।
দেশব্যাপী লকডাউনের কবলে দেশ যখন নিথর তখন বগুড়ায় ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক যুবক । অন্যদিকে পৃথক ঘটনায় বাবার মৃত্যু খবর শুনে বাড়ীতে আসতে গিয়ে পথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কুন হয়েছেন গেলেন বগুড়ার সোনাতলার এক যুবক ।
শনিবার রাতে দুটি খুনের একটি ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং অপরটি বগুড়া শহরের তিনমাথা এলাকায় ।
টাঙ্গাইলের কালিয়াকৈর থানা এলাকায় নিহত যুবকের নাম রাশেদ মিয়া (৩২ )তার বাড়ী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের করমজা গ্রামে । গাজীপুরের একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মরত ছিলেন তিনি। বাবা রমজান আলী মারা গেছেন এমন খবর পেয়ে বাড়ী আসার পথে শনিবার রাতে খুন হন তিনি।
বাবার মৃত্যু খবর পেয়ে সে গাজীপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আসলেও চন্দ্রাা থেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কালিকৈর পর্যন্ত এসেছিলে তিনি । সেখানেই আক্রান্ত হন তিনি । মোবাইল ফোন ও মানি ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার সময় বাধা পেয়ে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
রাতেই এখবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এস আই মনিরুজ্জামান রাশেদের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য গাজীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া রাশেদের কাছে পাওয়া পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্তর মোবাইল নম্বরে ফোন করে তার মারা যাবার খবরটা জানিয়ে দেন এস আই মনিরুজ্জামান।
খবরটি জানাজানি হলে পুরো ইউনিয়ন জুড়েই শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রবিবার সকালেই নিহত ছেলেকে ছাড়াই দাফন করা হয় বাবার লাশ।
রাশেদের লাশ গ্রামের বাড়ীতে এসে পৌছলে বাবার কবরের পাশেই ছেলের জানাজার পর দাফন করা হবে।
অপর দিকে পৃথক এক ঘটনায় এদিকে অপর একটি ঘটনায় বগুড়া সদরের তিন মাথা রেল গেইট এলাকা থেকে রবিবার সকালে ছুরিকাঘাতে নিহত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে শজিমেক মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যদের ধারনা নাম পরিচয় বিহীন এই যুবকটি হয়তো ভেঙে ভেঙে নিজ গন্তব্যে যাবার সময় উল্লেখিত স্থানে এসে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছিলো । পরে তাদের ছুরিতে নিহত হন তিনি ।
সঙ্গকারনে প্রশ্ন উঠতেই পারে লককডাউনের কারনে সড়ক মহা সড়ক রাস্তা ঘাট বন্দর এক কতটা নিরাপত্তাহীন । কর্মহীন, ভবঘুরে ও মাস্তান সন্ত্রাসীরা লক ডাউন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাস্তা ঘাটকে অনিরাপদ করে তুলেছে।