এস,এম,হাবিবুল হাসান :
সাতক্ষীরায় করোনা মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ ও অসহায় ৪২ হাজার ৫শ পরিবারের মধ্যে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা। এজন্য আরও ১শ৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া মানুষের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভার অনুকূলে ৬শ মেট্রিক টন চাল এবং ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ৯১ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫শ টাকা, কলারোয়ায় ৬৭ মেট্রিক টন চাল ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, তালায় ৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, আশাশুনিতে ৭২ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, দেবহাটায় ৪৯ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, কালিগঞ্জে ৭১ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫শ টাকা, শ্যামনগরে ৮১ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা, সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৭০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা এবং কলারোয়া পৌরসভায় ২৬ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৭০ জন সদস্যের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার তৈল এবং একটি সাবানের প্যাকেজ সমাজ কল্যাণ তহবিল হতে বিতরণ করা হয়েছে।শিশু খাদ্যের জন্য সরকারের দেয়া ৪ লক্ষ টাকায় উপজেলায় এবং পৌরসভার অনুকূলে উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
একইভাবে
সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ ধরনের ৩১৫ ব্যক্তিকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৪শ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
একইভাবে সংকটকালীন সময়ে বাস-মালিক সমিতির শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ১ শ৭৯ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হবে। সাতক্ষীরা শহরে ২শ৭ জন চা বিক্রেতা ও ভ্যান চালকের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।