ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে এক গৃহবধু নির্যাতনের শিকার হয়ে তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী মহড়ার (মুহুরী) বিরুদ্ধে। আইনের আশ্রয় নেয়াই যেন তার অপরাধ এমটাই মনে করছেন নির্যাতিত ওই নারীর পরিবার।
নির্যাতিত ওই নারী অভিযোগ করে বলেন সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের জামুড়ী পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। তার স্বামী একজন সরকারি চাকুরীজীবি। সে নিজেও একটি বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। যা কোন দিনই শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ভাল ভাবে নিতে পারেননি। এ নিয়ে চলতো সংসারে অশান্তি। শত নির্যাতন সহ্য করেও দীর্ঘ ১৮ বছর কাটিয়ে দেন তিনি। তার দুই ছেলে। বড় ছেলের বয়স ১৭ ও ছোট ছেলের বয়স ১৪। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিশেষে আইনের আশ্রয় নেন। এতে স্বামী কিছু দিন হাজত বাস করে। যা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার।
ওই নারী কেঁদে কেঁদে বলেন এটা কি আমার অপরাধ ? এর ফলে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মামলা থেকে রক্ষা পেতে তার স্বামী সমঝোতা করে। মুসলিম রীতিনীতি অনুযায়ী সে পূনরায় বিয়ে করে। যার প্রেক্ষিতে একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু ওই লম্পট স্বামী আরেকটি বয়ে করে। গত শুক্রবার দেলোয়ার তার পূর্বের বউকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসলে পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। দেলোয়ারের বড় ভাই হাফিজুর রহমান মহড়া ঘরের দর্জায় তালা মেরে তাকে মারধর করে বাইরে বের করিয়ে দেয়।
দেলোয়ার হোসেনের সাথে মুঠো যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে হাফিজুর রহমানের (মহড়া) সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাগান্নিত হয়ে বলেন বিষয়টি সাদেক কুরাইশী দেখছেন। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আইনের মাধ্যমে তা সমাধান হবে।
এ প্রসঙ্গে ওসি অপারেশ গোলাম মর্তুজা বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।