ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার ধুনটে যৌতুক না পেয়ে লাবনী খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে তালাকের চিঠি পাঠিয়েছেন তার স্বামী। কিন্তু তালাকের চিঠিতে স্বাক্ষর না করায় বাবার বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে পাষন্ড স্বামী পলাশ সরকার (৩৫)। এঘটনায় নির্যাতিত ওই নারীর ভাই ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে পলাশ সরকার সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের মফিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে পলাশ সরকারের সাথে প্রায় ১৬ বছর আগে আনারপুর গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে লাবনী খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে সন্তান জন্মের পর পলাশ সরকার জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যায়। পলাশ সরকার সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরে এসে তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে। কিন্তু তার দরিদ্র বাবার পক্ষে যৌতুক টাকা জোড়ার করা দেওয়া সম্ভব হয় না। একারনে লাবনী খাতুনের উপর শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী পলাশ সরকার। কিন্তু স্বামী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে লাবনী খাতুন বাবার বাড়িতে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এর কিছু দিন পরই লাবনী খাতুনকে তালাকের চিঠি পাঠায় পলাশ। কিন্তু তালাকের চিঠিতে স্বাক্ষর না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পলাশ সরকার। সোমবার বিকেলের দিকে পলাশ সরকার ও তার লোকজন নিয়ে লাবনী খাতুনের বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে বেদম মারপিট করতে থাকে। এসময় লাবনী খাতুনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে পলাশ ও তার লোজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন লাবনী খাতুনকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার লাবনীর ভাই ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে পলাশ সরকারসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ এবিষয়ে পলাশ সরকার বলেন, সংসারে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেয়া হয়েছে। তবে তাকে মারপিট করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, গৃহবধূকে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।