আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরশহরের তাঁতীপাড়ায় উত্তম চন্দ্র দেবনাথকে (২৬) গলা কেঁটে হত্যাকা-ের আলামত সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন থানা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায, বৃহস্পতিবার নিহত উত্তম চন্দ্র দেবনাথের বাড়ি সংলগ্ন (পিঁছনে) পুকুরের পানি সেচে ১টি করে কুড়াল, বেঁকী ও ২টি চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। এ অভিযানে রংপুরস্থ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট অংশগ্রহণ করে। উক্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহযোগিতায় আলামত সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত থাকায় এ হত্যাকা-ের মোটিভ উদঘাটনের সহায়ক হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধায় পৌর শহরের তাঁতীপাড়াস্থ নিবারণ চন্দ্র দেবনাথের ছেলে উত্তম চন্দ্র দেবনাথ (রাজমিস্ত্রী) কে তার শয়ন ঘরে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। এ ঘটনার পর ঐ ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অসুস্থ অবস্থায় নিহত উত্তম চন্দ্র দেবনাথের স্ত্রী নলিতা রানী দেবনাথকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শয়ন ঘর থেকে নিহত উত্তম চন্দ্র দেবনাথের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরুতহার রিপোর্ট প্রস্তুত করার পর ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই গোপাল চরণ দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনরাা ৩জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী, তার পিতা ও মা দ্রুত হত্যাকারীদেরকে চিহ্নিত, গ্রফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আলামত সংগ্রহের ক্ষেত্রে অভিযানের অংশ হিসেবে পুকুর সেচার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মতৎপরতা পরিদর্শন করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল মিয়া, থানা অফিসার ইনচার্জ- আব্দুল্লাহিল জামানসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীগণ।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, উত্তম চন্দ্র দেবনাথ হত্যাকা-ের আলামত সংগ্রহ হলেই দ্রুত অপরাধীদেরকে চিহ্নিত পূর্বক গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।