ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। এই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠাকুরগাঁওয়ে কোল্ডষ্টোরেজ গুলোতে অভিযান অব্যাহত থাকলেও কমছে না আলুর দাম। কৃষি বিপনন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় আলুর নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণকরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যাতে উল্লেখ আছে গত মৌসুমে আলু উৎপাদন হয়েছে ১.০৯ কোটি মেট্রিক টন। দেশে প্রতি বছর আলু চাহিদা ৭৭.০৯ লক্ষ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত থাকে আরো ৩১.৯১ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে আলুর ঘাটতি একেবাইরেই ক্ষীন। প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয় আলুর মৌসুমে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ধরা হয় ১৪ টাকা। উৎপাদান খরচ,হিমাগার ভাড়া, বাছাই, ওয়েট লস, মূলধনের সুদসহ অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ খরচ হয় ২১ টাকা। প্রতি কেজিতে লাভ থাকে ২টাকা। অপর দিকে আড়ৎদাররা মুনফা যোগ করে ২৫টাকা দরে বিক্রী করবে।
আর খুচরা বাজারে ভোক্তারা ক্রয় করবে ৩০ টাকা। জেলা কৃষি বিপনন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় আলুর মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৫.৩৫ হাজার মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় এখন পর্যাপ্ত আলু মজুত আছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী বাজার, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড বাজার, গোধুলী ও
সত্যপীর বীজ বাজার এলাকা ঘুরে এসে দেখা যায় প্রতি কেজি আলু
বিক্রী হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।
সবজি ব্যবসায়ী আইনুল হক, শহিদুল হক, আলম ইসলাম, জালাল উদ্দীন, মতি
হোসেন, মোশারফ হোসেন, লিটন হক, খোকনসহ অনেকের সাথে কথা
বলে জানা যায় আড়ৎতেই আলু ৩৫-৪০ টাকা দরে কিনতে হয়। আবার আনতে
যানবাহন খরচ হয়। সেক্ষেত্রে ৪০ – ৪৫ টাকা দরে বিক্রী না করলে আমাদের লাভই
থাকবে না।
ভোক্তাদের অভিযোগ কৃষি বিপনন বিভাগ আলুর দাম নির্ধারণ করে
প্রজ্ঞাপন জারি করলেও তা মানছেন না আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। ভোক্তাদের
অভিযোগ এর সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত বলেন মনে করেন তারা।
ঠাকুরগাঁও জেলা বাজার অনুসন্ধাকারী কর্মকর্তা মো. সাখ্ধসঢ়;ওয়াত
হোসেন বলেন অভিযান অব্যাহত আছে। তবে আগের তুলনায় কিছুটা দাম
কমেছে। জেলায় ১৫টি আলুর কোল্ডষ্টোর রয়েছে। এখনও ১.২৮ হাজার
মেট্রিক টন আলু মজুত আছে। সেক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর ঘাটতি
থাকার কথা নয়।