স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার শেরপুরে সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী (১০) কে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ২ সন্তানের জনক রোজিত হোসেন (৩৬) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ধর্ষককে আটক করলে তাকে পালাতে সাহায্য করে ধর্ষকের চাচি। ধর্ষক রোজিত সুঘাট ইউনিয়নের বাবলু মিয়ার ছেলে। আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ৩টায় চোমরপাথালিয়া উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তোভোগী ছাত্রীর মা জানান, রোজিত হোসেন গত ৩দিন পুর্বে মেয়েকে ধর্ষণ করলে মেয়ে আমাকে জানায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়ের ভবিষতের কথা চিন্তা করে চক্ষু লজ্জায় কাউকে কোন কিছু না বলে বিষয়টি গোপন রাখে। আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ৩টার দিকে মেয়েকে বাসায় কাজ করার জন্য বাহিরে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় রোজিত আবার বাসায় ডুকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে রোজিতকে দেখে বাড়ীর গেট বন্ধ করে দেয়। এ সময় ধর্ষকের চাচি আব্দুর রশিদের স্ত্রী নুরজাহান ও আশরাফ আলীর স্ত্রী খাদিজা খাতুন ধর্ষক রোজিতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গত ১৩ অক্টোবর রাতে থানায় মেয়ের বাবা ধর্ষণ মামলা করে মামলা নাম্বার ২৫/২০২০ শেরপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রোজিত কে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলা হওয়ার ৬ ঘন্টার মধ্যে আসামি রোজিতকে গ্রেফতার করেছি।