স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে সেবাদান কার্যক্রম, প্লাষ্টার ভেঙে পরার আতঙ্কে রোগীরা!
- আপডেট সময় : ০৯:২৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
৫০ শয্যা বিশিষ্ট মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঝুকিপূর্ণ ভবনে দেওয়া হচ্ছে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা। ভর্তি থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের বিকল্প কোন উপায় না থাকায় নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা জীবনের ঝুকি নিয়েই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। সম্প্রতি ভবনটির পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের প্লাষ্টার খষে পরার ঘটনা ঘটে। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বেশ কয়েকজন রোগী। এছাড়া অতি সম্প্রতি ভবনের ছাদের বেশ কয়েকটি স্থান থেকে প্লাষ্টার খষে পরার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটনা ঘটেছে বলে হাসপাতালের রোগীদের কাছ থেকে জানা যায়। ফলে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ যেখানে জীবন বাঁচাতে এসে ভর্তি হন, ছাদের প্লাষ্টার খষে পরে সেখানেই যদি মানুষ আহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন তবে এর দায় নেবে কে? এমনটাই প্রশ্ন ভর্তি থাকা হাসপাতালটির রোগী ও তাদের স্বজনদেন। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতল ভবনের পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদ থেকে প্লাষ্টার খষে পরার বেশ কয়েকটি চিহ্ন লক্ষ করা যায়। খষে পরা প্লাষ্টারের অংশে মরিচা ধরা লোহার রড বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া ভবনটির নিচতলার বেশ কয়েকটি স্থানে ছাদের প্লাষ্টার খষে পরাসহ ভবন জুড়ে বিভিন্ন অংশে ফাটল লক্ষ করা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, আপনারা জানেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলা বিল্ডিংটি অনেক পুরাতন। সেই ১৯৬৮ সালে নির্মিত বিল্ডিং টির অনেক অংশের প্লাষ্টার খসে খসে পড়ছে। ইতিপূর্বে ভবনের বিভিন্ন স্থানের প্লাষ্টার খষে পরেছে। আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে হাসপাতালে সেবাদান কার্যক্রম চলছে। হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টকে বহুবার এ বিষয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে এবং অতি দ্রুত সংষ্কারসহ নতুন ভবন নির্মানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।আপনারা অবগত আছেন যে এই হাসপাতালের বেড অকুপেন্সী রেট ১০০% এর বেশি এবং প্রতিদিন গড়ে পাঁচশতাধিক রোগী আউটডোরে সেবা গ্রহণ করেন।এমতাবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবন নির্মান করা খুবই প্রয়োজন। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর ইঞ্জিনিয়ার সপ্তাহ দুই আগে আমাকে জানিয়েছেন যে এই বিল্ডিং এর সংষ্কার এর জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে এবং সেটার টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হলে উনারা সংস্কার কাজ শুরু করবেন।