ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সান্তাহারে মোড়ে মোড়ে মৌসুমীফলের দোকান

আদমদিঘী (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে

 

বগুড়ার সান্তাহার পৌর ও জংসন শহরে মোড়ে মোড়ে মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম কাঠাঁল, আনারস, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, আমড়া। শহরের অন্তত ১৪টি মোড়ে এসব সুস্বাদু ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছে ফলের ব্যবসা করে মোটামাটি আয় করছেন তারা। সান্তাহার রেলগেটে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ফল কেনাবেচা হয় বলে জানা গেছে। প্রায় সারা বছর এখানে নানা রকম ফল পাওয়া যায়। বৃটিশ আমলে নির্মিত সান্তাহার জংসন ষ্টেশনের যে দুটি রেলগেট আছে, সেখানেই ফলের আড়ত । কাকডাকা ভোরবেলা এখানে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম ফল ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসে। কিছু ফল আবার এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়। সান্তাহার রেলগেটে ১৩/১৪ টি ফলের দোকান আছে। এখানে আম,জাম, আঙ্গুর, লিচু,কলা, বেদনা, বেল, কদবেল, ডাব, আনারস, পেপে,
জাম, তেতুল, কাঠাল, কামরাঙ্গা, আনারস সহ প্রায় সব রকমের ফল পাওয়া যায়। এখানকার ফল ব্যবসায়ীরা
রাজশাহী, চাপাইনবাবগজ্ঞ গিয়ে সরাসরি আম কিনে নিয়ে আসে। সান্তাহার রেলগেট ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, ষ্টেশন রোডে দৈনিক বাজার ও সান্তাহার- –বগুড়া সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে এসব মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে। সান্তাহার রেলগেটের মৌসুমী ফল ব্যাবসায়ী আসাদুল হক চান জানান আমি বহুদিন ধরে এখানে
ফলের ব্যবসা করি। এই মৌসুমে নিজেই চাপাই নবাবগজ্ঞ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী ও জামালগঞ্জ থেকে এই সব মৌসুমী ফল গিয়ে কিনে নিয়ে এসেছি। একটা ফলের মেয়াদ পার হলে আমরা অন্যটা বিক্রি করি। আমাদের এখান থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে আম সহ ও অনান্য ফল কিনে নিয়ে
যায়। জহুরা খাতুন নামে এক ফল ক্রেতা জানান বাচ্চা ও নিজেদের জন্য মৌসুমী ফল সান্তাহারে প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। আজ মঙ্গলবার বাসার জন্য কিছু কলা, পেয়ারা ও আঙ্গুর নিলাম। এ বছর সব শ্রেনীর মানুষ এসব ফল কিনতে পেরেছে। দাম সহনয়ি ছিল। বর্তমানে দাম বেশি। কিছু জাম,আনারস কিনলাম। আমাদের ভাজা-পোড়া সামগ্রি ছেড়ে মৌসুমী ফল খাওয়া দরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

সান্তাহারে মোড়ে মোড়ে মৌসুমীফলের দোকান

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

 

বগুড়ার সান্তাহার পৌর ও জংসন শহরে মোড়ে মোড়ে মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম কাঠাঁল, আনারস, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, আমড়া। শহরের অন্তত ১৪টি মোড়ে এসব সুস্বাদু ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছে ফলের ব্যবসা করে মোটামাটি আয় করছেন তারা। সান্তাহার রেলগেটে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ফল কেনাবেচা হয় বলে জানা গেছে। প্রায় সারা বছর এখানে নানা রকম ফল পাওয়া যায়। বৃটিশ আমলে নির্মিত সান্তাহার জংসন ষ্টেশনের যে দুটি রেলগেট আছে, সেখানেই ফলের আড়ত । কাকডাকা ভোরবেলা এখানে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম ফল ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসে। কিছু ফল আবার এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়। সান্তাহার রেলগেটে ১৩/১৪ টি ফলের দোকান আছে। এখানে আম,জাম, আঙ্গুর, লিচু,কলা, বেদনা, বেল, কদবেল, ডাব, আনারস, পেপে,
জাম, তেতুল, কাঠাল, কামরাঙ্গা, আনারস সহ প্রায় সব রকমের ফল পাওয়া যায়। এখানকার ফল ব্যবসায়ীরা
রাজশাহী, চাপাইনবাবগজ্ঞ গিয়ে সরাসরি আম কিনে নিয়ে আসে। সান্তাহার রেলগেট ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, ষ্টেশন রোডে দৈনিক বাজার ও সান্তাহার- –বগুড়া সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে এসব মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে। সান্তাহার রেলগেটের মৌসুমী ফল ব্যাবসায়ী আসাদুল হক চান জানান আমি বহুদিন ধরে এখানে
ফলের ব্যবসা করি। এই মৌসুমে নিজেই চাপাই নবাবগজ্ঞ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী ও জামালগঞ্জ থেকে এই সব মৌসুমী ফল গিয়ে কিনে নিয়ে এসেছি। একটা ফলের মেয়াদ পার হলে আমরা অন্যটা বিক্রি করি। আমাদের এখান থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে আম সহ ও অনান্য ফল কিনে নিয়ে
যায়। জহুরা খাতুন নামে এক ফল ক্রেতা জানান বাচ্চা ও নিজেদের জন্য মৌসুমী ফল সান্তাহারে প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। আজ মঙ্গলবার বাসার জন্য কিছু কলা, পেয়ারা ও আঙ্গুর নিলাম। এ বছর সব শ্রেনীর মানুষ এসব ফল কিনতে পেরেছে। দাম সহনয়ি ছিল। বর্তমানে দাম বেশি। কিছু জাম,আনারস কিনলাম। আমাদের ভাজা-পোড়া সামগ্রি ছেড়ে মৌসুমী ফল খাওয়া দরকার।