সাইলো সুপারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবরোধ
- আপডেট সময় : ০৪:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সাইলো সুপার (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার বেলা ১১ টায় সাইলোর মুল ফটকের সামনে কর্মবিরতি পালন করে সেখানে কর্মরত ভুক্তভোগী অর্ধশত ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা। কর্মবিরতি চলাকালে সাইলো সুপারের নির্দেশে মুল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়, যেনো শ্রমিকরা ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। এতে করে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করে। এরপর তারা সাইলো সুপারের কাছে তাদের দাবীগুলো জানানোর জন্য বিকল্প গেট দিয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু সাইলো সুপার তাদের সাথে কোনো কথা না বলে এক পয়ার্য়ে তার সহকর্মীদের সহয়তায় ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কর্মরত শ্রমিকরা তার সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কোনো সাড়া দেন না । এতে করে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে শন্তিপূর্নভাবে সাইলো সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর আগে কর্মবিরতিকালে বিভিন্ন দূর্ণীতি, অনিয়ম, ঘুম বাণিজ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের মধ্যে খোরশেদ আলম, রবিউল ইসলাম, সুমন হোসেন, এনামুল হক, সাগর হোসেন, নাজমুল হক, বাবুসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, সাইলো সুপার বিভিন্ন দূর্ণীতি, নিয়োগ ও ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। তিনি একক ক্ষমতা বলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমিজ উদ্দিন এ্যান্ড ব্রাদার্সকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিমানের টিকিটসহ আট লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাকে কাজ না দিয়ে আরো অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে জয় কনষ্ট্রাকশনকে কাজ পাইয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তমিজ উদ্দিন এ্যান্ড ব্রাদার্স তদন্ত কমিটির নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। তারা আরো বলেন, মাস্টাররোলের নিয়ম অনুয়ায়ী আমাদের মজুরি দেওয়ার কথা ২২৪ টাকা কিন্তু সাইলো হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার না থাকায় প্রতি হাজিরায় সাইলো সুপার ৪৯ টাকা করে কেটে নিয়ে মাস্টাররোলের শ্রমিকদের ১৭৫ টাকা মজুরি দিচ্ছে যা দুর্নীতির একটা ভয়াল চিত্র। অথচ দ্রব্যমুল্য উর্ধ্বগতির এই দিনে একজন শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি হওয়া উচিত ৪০০/৫০০ টাকা। আমরা আমাদের করুণ অবস্থার কথা সাইলো সুপারকে জানাতে গেলে তিনি কোনো কথা না শুনে উল্টো চাকুরি থেকে বের করাসহ মামলার হুমকি প্রদান করেন। আমরা এই দুর্নীতিবাজ সাইলো সুপারের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের ন্যায়্য মজুরি থেকে কেটে নেওয়া পাওনা বকেয়াসহ সমস্ত মজুরির টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, বর্তমান সাইলো সুপার (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সাইলোতে রক্ষণ প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্ণীতির দায়ে একবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাইলোতে সরকারি বেতনভূক্ত এক কর্মচারি ক্ষোভের সহিত জানালেন, আমার ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এরকম কর্মকর্তা পাইনি। তিনি খুব আত্মঅহংকার নিয়ে থাকেন। কোনো কর্মচারিকে তিনি কিছু মনেই করেন না। আর যারা মাস্টাররোলে চাকরি করছেন, তাদের কথা বাদই দিলাম। খবর পেয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদশক বকুল হোসেন ও মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়টি জানতে চাইলে বকুল হোসেন বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে শ্রমিকদের কথাগুলোর সত্যতার জানার জন্য গনমাধ্যমকর্মীরা সাইলো সুপারের কাছে গেলে তিনি গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে কোনো তথ্য না দিয়ে উল্টো মামলার করা হুমকি দেন। তাকে বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দোহায় দিয়ে বক্তব্য দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন।