শেরপুরে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন হিট স্ট্রোকে মৃত কৃষি শ্রমিক
- আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার শেরপুরে গত কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ ও দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে । ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
চৈত্র্যের পর বৈশাখের খরতাপে রোদের তাপমাত্রা ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর এতে করে সবচেয়ে দূর অবস্থায় পড়েছে শিশু ও শ্রমজীবী মানুষ। এ ভ্যাপসা গরমে নানা রোগ-ব্যাধির সংক্রমন বেড়েছে। তীব্র গরমে পুড়ছে জনপদ, মাঠ-ঘাট ও শষ্যের ক্ষেত। কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। সর্বত্র গরম আর গরম, কখনও প্রচন্ড, আবার কখনও ভ্যাপসা গরম। বৈশাখ শেষ, জ্যৈষ্ঠ মাসও শেষের পথে তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভ্যাপসা গরমের তান্ডব চলছে জনপদে, সূর্যের প্রখরতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে । দুপুর হতে না হতেই সড়ক বাজারে লোক কমে যাচ্ছে। একটু প্রশান্তির জন্য গাছতলায় ঠাই নিচ্ছে মানুষ। কেউ বা চলছে স্যালো মেশিনের পানিতে গোসল করতে। কিশোরের দল ঝাপিয়ে তৃপ্ত হচ্ছে পুকুর বা ডোবার পানিতে । অসহনীয় তাপ, রৌদ্রযন্ত্রনা সেই সাথে পানি সঙ্কটে জনজীবনকে আরও এক ধাপ বিপর্যয়ের মুখে নিক্ষিপ্ত করছে।
অনাবৃষ্টিতে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে ধান এবং অন্যান্ন ফসল উৎপাদনের। অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমেছে । গরমে কেবলমাত্র জনজীবনেই অস্থিরতা আনছে না, নানান ধরনের গরমজনিত এবং পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।সোমবারে তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক পৌঢ় মহিলা। গতকাল শেরপুরেও হিট স্ট্রোকে একজন কৃষি শ্রমিক মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অতি গরম হিটস্টোকের কারণ হিসেবে জানান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রচন্ড গরমে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় দৃশ্যতঃ তাপদাহ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌরফ্যান, ইলেটকট্রিক ফ্যানের বিক্রি বেড়েছে । বুধবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য আগামী দিনগুলোতে অধিক পরিমান তাপদাহ আসছে, তাপদাহ জনজীবনের দুরবস্থার সব ক্ষেত্রই বিস্তৃত করেছে। তাপদাহ আর রৌদ্রের প্রখরতা হতে মুক্ত থাকতে হিটস্ট্রোক, পানিবাহিত ও গরম জনিত রোগের কবল হতে মুক্ত রাখতে সুর্যের প্রখরতা ভেদ করে বাইরে নয়, ঘাম ঝরানো নয়, সহনীয় ঠান্ডা আবহাওয়ায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এবং চিকিৎসকগণ।