শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে স্বল্প আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ০৩:২৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় দেশের অনান্য স্থানের
মতো শিক্ষা উপকরণের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের বই খাতা পেন্সিল রাবার স্কেল কলম স্কুলের পোষাক ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় পণ্যে কিনতে হিমসিম খাচ্ছে অভিভাবকরা। এমনকি টিউশনীর খরচও বেড়েছে। তাই উদ্বিগ্ন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বাড়তি খরচ জোগাতে নিজস্ব পেশার বাইরে পার্টঠাইম জব খুঁজছে কেউ কেউ।উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, নতুন প্রায় সব ধরনের বইয়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি খাতা প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দুই টাকার ফটোকপি বর্তমানে আড়াই বা ৩ টাকা করে করতে হচ্ছে। ছোট ফাইল ১৫ টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে ২০ টাকা হয়েছে।
কলমের ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দেড় মাস আগে প্রতি টন নিউজপ্রিন্ট কাগজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে গিয়ে ৭০ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। সাদা কাগজের মুল্যে ছিল প্রতি টন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ৯৫ হাজার ওপরে কিনতে হচ্ছে। এই দামের প্রভাব পড়েছে বই ও খাতার ওপর। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) সান্তাহারে এক ষ্টেশনারি দোকানের মালিক মোঃ ফারুকের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, ব্যবহারিক খাতা ৪০ টাকার টা বর্তমানে ৫০ টাকা মার্কার কলম প্রতি পিস ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা সাধারণ ক্যালকুলেটর ৮০ টাকার টা ১২০ টাকা, ৯৯৯ এ প্লাস ১৩৫০ থেকে ১৬০০ টাকা, জ্যামিতি বস্ক্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ৩০০ পাতার খাতা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মিনি ফাইল প্রতিটি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, জিপার ফাইল ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা প্লাষ্টিক ও ষ্টিলের স্কেল ডজনপ্রতি ২০ টাক্ধাসঢ়; থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েচে। রাবার ডজনপ্রতি ১০
টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে। ষ্টেশনারী দোকানের মালিক মোঃ সজিব হোসেন জানান, আমাদের প্রাইকারিতেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দেশে একের পর এক পণ্যোর দাম বেড়েছে। ফলে শিক্ষার
উপকরণের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আরেকজন বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, কাগজের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ মিল সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আরিফ, হাসনাত আলী, মুনমুন ও আয়েশা খাতুন জানান, পাঠ গ্রহণের প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন রেফারেন্স বই ও
নোট ফটোকপি করতে হয়। গত এক মাসে ফটোকপির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফটোকাপির দোকানদার মো: তারেক হোসেন জানান, কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরও বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যে নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান বাড়ি থেকে স্কুল ওকলেজে যেতে পরিবহন ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিভাবক মোছাঃ খোরসেদা খানম ও মোছা: বৃষ্টি খাতুন জানান আমার দুটি সন্তান শিক্ষার্থী। ওদের শিক্ষা উপকরণের মূল্যে বৃদ্ধির সাথে সাথে টিউশনের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া স্কুল ও কলেজে এবং প্রাইভেটে আসা- যাওয়ার পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা তো আমাদের পারিবারিক আয় ও আমাদের বেতন তো বৃদ্ধি পায়নি। এতে আমরা এখন সন্তানদের শিক্ষার উপকরণ কিনে দিতে পোশাক আশাক টিউশন ফি এবং স্কুল কলেজে আসা যাওয়ার ভাড়া দিতে আমরা এখন হিমশিম খাচ্ছি।