র্যাবের যৌথ অভিযানে ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট ক্যাশিয়ার সুজন গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে
-
আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার গ্রাহকের আমানতের হিসাব থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে ব্যাংকের আমানতের হিসাব থেকে প্রতারনার মাধ্যমে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাত করা মামলার প্রধান আসামী ক্যাশিয়ার সুজন রহমান (২৭)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত সোমবার (৮জুলাই) দিবাগত রাতে র্যাব- ১২ ও র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকার ধামরাই উপজেলার তালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত সুজন রহমান আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। উল্লেখ্য ঃ আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে স্থাপিত ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ব্যাংকিং এজেন্ট শাখা থেকে গত ২৬ মে রোববার ওই ব্যাংকে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ ঘটনায় ব্যাংক শাখার মালিক নুরুল ইসলাম প্রথমে বাদি হয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৮মে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে ওই ব্যাংকের ক্যশিয়ার সুজন রহমান (২৭), তার বাবা এনামুল হক (৪৬) ও মাতা রুবিয়া খাতুন (৪২) কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১১ জুন ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ এর দুপচঁাচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর
রহমান সোহাগ বাদি হয়ে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক শাখার এক কোটি ৫০ লাখ টাকা বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে গ্রাহকের ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রতারনা করে আত্মসাতের অভিযোগে পূর্বের মামলার বাদি চাঁপাপুর এজেন্ট শাখার মালিক নুরুল ইসলাম সোহাগসহ ক্যাশিয়ার সুজন রহমান, মুবাশির ইসলাম সিয়াম, কামারপুকুর গ্রামের মাহমুদুল শেখ ও গোবিন্দপুর সোনারপাড়া গ্রামের আব্দুল ছালাম সাহানাকে আসামী করে অপর আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক দুটি মামলার আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিল। অবশেষে ৪৬ দিন পর গতসোমবার রাতে র্যাব- ১২ ও র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকার ধামরাই উপজেলার তালতলা এলাকা থেকে ব্যাংক ক্যাশিয়ার সুজন রহমানকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার ( ৮ জুলাই) দুপুরে আদমদীঘি থানায় সোর্পদ করেন। মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।