ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার সান্তাহারে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ একজন গ্রেপ্তার জেলা যুবলীগের আয়োজনে ইফতার বিতরণ আদমদীঘিতে স্বামী স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট মামলায় আরো দুইজন গ্রেফতার আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত সিরাজদিখানে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধুনট থিয়েটারের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ঔষধ বাজারে সয়লাব বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পলে সিরাজগঞ্জে বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত মনন সাহিত্য সংগঠনের পাক্ষিক অধিবেশন এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সিএনজি চালিত গাড়ির সিলিন্ডার রি-টেস্টিং শতভাগ নিশ্চিত করা সময়েরদাবী গোমস্তাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার শুভ উদ্বোধন সান্তাহার পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে লুটপাট ও ভাংচুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ সান্তাহার পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে লুটপাট ও ভাংচুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ এই প্রথম নারী জেলা প্রশাসক পেল বগুড়াবাসী ঢাকায় নিখোঁজ রিক্সা চালকের সন্ধান এখনও মেলেনি ধুনটে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন এমরুল কায়েস ঠাকুরগাঁওয়ের ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ সান্তাহারে মাদক বিক্রি বন্ধের দাবীতে সুধী সমাবেশ নওগাঁয় কৃষক হত্যার দায়ে ২৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কে কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা

রূপপুর থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ শেখ হাসিনার, সহায়তায় জয়-টিউলিপ

ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।


সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা।

প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে।
এতে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম।

নিজের ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।
রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এটি তৈরি হলে এর দুটি ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

প্রকল্পটির ৯০ ভাগ অর্থায়ন হচ্ছে রাশিয়ার ঋণে। ১০ ভাগের জোগান দিচ্ছে সরকার। প্রকল্পটিতে ভিভিইআর প্রযুক্তির তৃতীয় প্রজন্মের পরমাণু চুল্লি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রত্যেকটির উৎপাদন সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট করে। চলতি বছর প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের প্রথম ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে আসে। পরে তা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে রাশিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

রূপপুর থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ শেখ হাসিনার, সহায়তায় জয়-টিউলিপ

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।


সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা।

প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দেশের ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে।
এতে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম।

নিজের ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।
রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এটি তৈরি হলে এর দুটি ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

প্রকল্পটির ৯০ ভাগ অর্থায়ন হচ্ছে রাশিয়ার ঋণে। ১০ ভাগের জোগান দিচ্ছে সরকার। প্রকল্পটিতে ভিভিইআর প্রযুক্তির তৃতীয় প্রজন্মের পরমাণু চুল্লি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রত্যেকটির উৎপাদন সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট করে। চলতি বছর প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের প্রথম ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে আসে। পরে তা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে রাশিয়া।