যশোর হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ ও ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা
- আপডেট সময় : ০২:০৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
যশোর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ২৪ জনকে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
ঘটনার ১৫ দিন পর সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তার চাচাতো ভাই শাহীন চাকলাদার যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার মৃত মান্নান চাকলাদারের ছেলে। তিনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য। যশোর শহরের চিত্রা মোড় এমএম আলী রোডে জাবির ইন্টারন্যাশনাল নামে তার মালিকানাধীন একটি পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিকেল বিকেল দিকে অজ্ঞাত ২০০ দুর্বৃত্ত গান পাউডার ও পেট্রোল নিয়ে ওই হোটেলের মধ্যে ঢোকে।
এতে বলা হয়, এরপর প্রথমে লুটপাট শুরু করে। দুর্বৃত্তরা হোটেলে ক্যাশ ভোল্ট ভেঙ্গে ৯০ লাখ টাক চুরি করে। এরপর ১০০ ফ্রিজ, ১০০ স্মার্ট টেলিভিশন, সাড়ে ৪০০ কিলোভেল্টের ২টি জেনারেটর, হোটেলে স্টোরের রাখা বিভিন্ন প্রকার মালামাল, আসবাবপত্র, ১ হাজার কিলোভোল্টের ট্রান্সফরমানসহ সাবস্টেশন, প্রেসার পাম্প, সাইবার ষ্টেশন, ফায়ার ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ লুট করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এরপর গানপাউার ও পেট্রোল দিয়ে হোটেলে একতলা থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে ওই হেটেলে থাকা একজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকসহ ২৪ জন পুড়ে মারা যায়। নিহতদের মধ্যে হোটেল স্টাফ ও বর্ডার ছিল। হোটেলে আলমারিতে রাখা তার ভাইয়ের আরও বিভিন্ন কোম্পানির মূল্যবান কাগজপত্র, আসবাসপত্র, স্টোরে রাখা বিভিন্ন মালামাল, যাবতীয় ইলেক্ট্রিক সামগ্রী, ৩টি লিফট, জানালার গ্রিল, গ্লাস দরজার যাবতীয় ডেকোরেশন পুড়ে যায়।
এছাড়া মূল ইমরতের বহু ক্ষতি হয়েছে। যা এই মুহুর্তে নিরুপণ করা সম্ভব না। বিষয়টি আশেপাশের বহু লোকজন দেখেছে। ঘটনার পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় সে সময় অভিযোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না বিধায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রোববার সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। সোমবার সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।