যদি জাতিকে, সমাজকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে সমস্যা গুলো খুঁজে বের করতে হবে-ঠাকুরগাঁওয়ে সারজিস আলম
- আপডেট সময় : ০৫:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন আমরা যদি জাতিকে, সমাজকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে সবার আগে আপনার সমস্যা গুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি এই ঠাকুরগাঁওয়ের বিষয়ে কথা বলি সেটা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাচনে কে নির্বাচিত হবে, কাদের ভোটে নির্বাচিত হবে সেটা হলো হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই-বোনেরা। তাহলে তাদেরকে কেন নতুন স্বাধীনতার পরে সীমান্তের দিকে ছুটতে হবে। এই প্রশ্নটি সবার সামনে করতে চাই। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেটি হলো হিন্দু ধর্মালম্বী ভাইদের উদ্দেশ্যে একটি কথা দু:খের সাথে বলতে চাই আপনাদের এই দূর্বলতা আপনরা নিজেরাই সৃষ্টি করেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড় মাঠে গণঅভ্যুথানের প্রেরণার শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দূর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন।
তিনি হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলেন এই দূর্বলতা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন আপনাদের যে একটি ভোট আপনারা এই ভোটটি কোন কিছু না বুঝে, কোন কিছু না শুনে, আপনার জন্য কে কাজ করছে তা না দেখে, না ভেবে সারাজীবন একটি মার্কার জন্য ফিক্সস্ট করে রেখেছেন। নৌকা মার্কায় আপনাদের ভোটটি ফিক্সস্ট করে রেখেছেন এটাই আপনাদের সবচেয়ে বড় দূর্বলতার জায়গা।
সারজিস আলম বলেন এখন ভাবার সময় এসেছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়েছে । যে আপনার জন্য কথা বলে, কাজ করার জন্য প্রস্তুত, জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, তার জন্য কথা বলুন, তার পক্ষে কাজ করুন।
তিনি বলেন বালিয়াডাঙ্গীর এই যে দবিরুল এমপিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। যদিও ভোট হয়নি। কিন্তু তার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। আপনাদের জমি দখল করেছে, নামকা ওয়াস্তে কিছু টাকা দিয়েছে, নিজের নামে লিখে নিয়েছে। সেই জায়গায় তারা তাদের পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এমপি কে ওই পরিবার, চেয়ারম্যান কে ওই পরিবার, উপজেলায় কে ওই পরিবার।
সারজিস বলেন আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে যে বিষয়টি শুনেছি মামলা মামলা খেলা চলছে। এই ঠাকুরগাঁওয়ে টাকার বিনিময়ে মামলায় নাম দেওয়া হয়, আবার নাম কাটা হয়। এ জন্যই কি ছাত্র জনতা অভ্যূথান করেছিল ?
ছাত্র-জনতা কোন অন্যায় করাকে, হয়রানি করাকে সমর্থন করে না। আপনারা যদি এই অন্যায়কে সমর্থন করেন তাহলে এই অন্যাকারি প্রতিষ্ঠিত হবে। সামনে দিন আপনি, আপনার পরিবার, আপনার আতœীয় কেউ না কেউ অন্যায়ের শিকার হবে।
আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে এসে যেখানেই যাই, সেখানেই দালাল আর দিয়ে ভরে গেছে। সব জায়গায় আপনাদের টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া কাজ হয় না। বিদ্যালয়ের একটি নৈশ্যপ্রহরী পদে চাকুরীর জন্য ২০ লাখ টাকা দিতে হয়। ছাত্র সমাজ কখনো এটাকে সমর্থন করে না এই সিষ্টেম গুলো। বিগত ১৬ বছরে সেই নষ্ট সিষ্টেম গুলো যার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে সেই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিয়ন, তারিকুল ইসলাম, জহির রায়হান, রকিব মাসুদ, শাহিন আলমসহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনতা।