মৌলিক বিষয় বাদদিয়ে বাদীর কথায় প্রভাবিত দুদক তদন্ত কর্মকর্তা।
- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
মৌলিক বিষয় বাদদিয়ে বাদীর কথায় প্রভাবিত দুদক তদন্ত কর্মকর্তা বলে আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন। জয়পুরহাট জেলার কোড়লগাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে মো: মাহবুবুর রহমান,বর্তমান মোতাওয়াল্লী, ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল ওয়াকফ এস্টেট,ই,সি,নং ১৪২২ ।
এই মর্মে জানাচ্ছি যে,আমার বড় ভাই মেহেদী মির্জা লুলুর ( প্রয়াত মোতাওয়াল্লী) মৃত্যুর পর সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ পূর্বক বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় ঢাকা কর্তৃক বিগত ১২/০১/২০১৫ ইং তারিখে আমকে (মাহবুবুর রহমান) ওয়াকফ আইনের ৫১ ধারা মোতাবেক স্থায়ীভাবে মোতাওয়াল্লী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
নিযুক্ত করার পর থেকেই জনৈক আজাহার আলী মন্ডল তার ইন্ধন দাতার ইন্ধনে,তার সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী চক্রের সহযোগীতায় ওয়াকফ সম্পত্তি জোড়পূর্বক জবর দখল করেছে, মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করা,চাঁদা দাবি করা, বাড়িঘর ভাংচুর,লুটপাট ও ডাকাতি করা , মোতাওয়াল্লী কে ও তার পরিবারের সদস্যদের কে হত্যার প্রচেষ্টা করা সহ নানাবিধ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে চলেছে। এ সমস্ত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষেতলাল থানায় তাদের নামে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি,ধর্ষণের ন্যায় একাধিক মামলা হয়েছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসীরা বলে যে, কোন মামলা,হামলাকে তারা তোয়াক্কা করে না,আইন আদালত ও প্রশাসন তাদের পকেটে। এই জন্য সমস্ত মামলায় জামিনে থেকে একের পর এক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করেই চলেছে।
সর্বশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ম ,জয়পুরহাট এর রেকর্ড থেকে মিস আপীল নামীয় মামলা নং ২০/২০১৭ এর রায় আদেশ গায়েব করে মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবার কে জেল খাটানোর ব্যাপক ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,জয়পুরহাট এ সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে মোতাওয়াল্লী ও পরিবারের বিরুদ্ধে পি-৭১ /২০২২(ক্ষেতলাল) নং মিথ্যা, বানোয়াট জাল জালিয়াতির মামলা দায়ের করে। আদালত সি,আই,ডি,জয়পুরহাটকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদী আজাহার আলী সি,আই,ডি,কে প্রভাবিত করে। সি,আই,ডি, কোন ধরণের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা ,বানোয়াট ও বাদীর মিথ্যা বর্ণনা মতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত ফৌজদারী আইনের ২০৩ ধারা মোতাবেক মামলাটি খারিজ করে দেন।
এতেও বাদী ক্ষান্ত নয়,এর পর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ও জেলা জজ আদালত,জয়পুরহাট এর পেশকার এস এম শাহীন আলমের কু-পরামর্শে ও সহযোগীতায় শ্পেশাল জজ আদালত,জয়পুরহাট এ মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ০২/২০২৪ নং মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুদক,সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁকে নির্দেশ দেন। দুদক কার্যালয় নওগাঁ, উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী হায়দারকে মামলার বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন।তদন্ত কর্মকর্তা বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ১-৪ নং রেসপডেন্ট পক্ষের আইনজীবীকে নোটিশ না করে বার বার বাদী বিবাদীর আইনজীবীকে নোটিশ করেণ,অথচ মিস আপীল নামীয় মামলা নং ২০/২০১৭-রায় আদেশের সার্টিফাইড কপি নেওয়ার জন্য ১-৪ নং রেসপণ্ডেন্ট পক্ষের আইনজীবীর স্বাক্ষরে আবেদন করা হলে কোর্ট মোতাওয়াল্লীর নিকট সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করেণ।বাদীর মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বর্ণনা মতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বিবাদী মোতাওয়াল্লী মাহবুবুর রহমানকে তদন্তকারী কর্মকর্তার অফিসে ডেকে কাষ্টুডিতে দেওয়ার হুমকি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার বহুবিদ কথা-বার্তায় মোতাওয়াল্লী অত্যন্ত শঙ্কিত ও হতাশাগ্রস্ত বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,তদন্তের সার্বিক বিষয় বস্তুর সাথে দালিলিক তথ্য প্রমাণ,কোর্ট থেকে সহি স্বাক্ষর করত আমকে সার্টিফাইড কপি দেওয়া হয়েছে কিনা ? এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ গোলাম সরোয়ার মহোদয়ের সহি স্বাক্ষর সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য অনুরোধ জানান।
এছাড়াও শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাদী আজাহার আলী মন্ডলের কোন পদক্ষেপ আইন সঙ্গত ছিল কিনা তা যাচাই করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। শুধুমাত্র ওয়াকফ সম্পত্তি লুটপাট করার অসৎ উদ্দেশ্যে বাদী আজাহার আলী মন্ডলের সমস্ত ষড়যন্ত্র। আমার বক্তব্যের বিষয়ে সমস্ত দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। আমার বক্তব্য আমূলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, জেলা জজ আদালত, জয়পুরহাট এর পেশকার সামসুল হুদা,এস এম শাহীন আলম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন,বাদী আজাহার আলী মন্ডলের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ সমস্ত বেআইনি কর্মকান্ড সংঘটিত করেছে মর্মে আমার দুঢবিশ্বাস।(মোতাওয়াল্লী) তাদেরকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলী করিয়ে আইনের আওতায় আনা হলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
মুঠো ফোনে মিস আপীল মামলার বাদী আজাহার আলীর কাছে মামলার রায় আদেশ গায়েবের বিষয়ে জানতে চাইলে,রায়ের আদেশ গায়েব হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
একই বিষয়ে আদলতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেনকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন,কেউ যদি রায় আদেশ গায়েব করে কি করবেন?কেউ যদি গায়েব করে থাকে কারার কি আছে?