ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ-ঢাকা সংযোগ সড়কটি কার্পেটিং না করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে
- আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ-ঢাকা সংযোগ সড়কটি কার্পেটিং না করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সড়কটি স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্তাবধানে ২০১৮ সালে নির্মান কাজ শেষ হয়।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদর হতে চলনবিল হাইওয়ের সাথে সংযোগের এই রাস্তাটি নির্মিত হওয়ায় ভাঙ্গুড়ার সাথে রাজধানীর দুরুত্ব যেমন কমে, তেমনি বিলবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়। এই সড়কে ব্রিজগুলো যথাসময়ে নির্মিত হলেও উপরিভাগে তখন ইট দ্বারা হেরিংবন করে রাখা হয়।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এলজিইডি’র এই সড়কের নৌবাড়ীয়া হতে ময়দানদিঘী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৫ কোটি টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র লিমিটেড ওয়ার্ক অর্ডার পেলেও কাজটি নিজে না করে রেজোয়ান আহমেদ নামের এক ঠিকাদারকে সাবকন্ট্রাক্ট দিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার রেজোয়ান আহমেদ জানান, কিছু কাজ হলেও অগ্রগতি অনুযায়ী বিল না পাওয়ার কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে হেরিংবন ভেঙ্গে যাওয়ায় ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে পানি জমে থাকে। উপরন্ত দীর্ঘদিন কার্পেটিং না করায় যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জনসাধারণ চলাচলের ক্ষেত্তেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত কার্পেটিং করার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশলী আফ্রোজা পারভীন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, কয়েক বছর ব্যাপক যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের হেরিংবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া বিলের মধ্যে রাস্তার মাটি বসে যাওয়ার আশংকায় তখন কার্পেটিং করা যায়নি। তবে জনদুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।