বিএনপি নেতার ইটভাটার ৫বিঘা জমি ক্রয় করে সাবেক বিএনপি সাংসদে সীমানা দেওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া শেরপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো:ফিরোজ আলীর প্রায় ৩যুগধরে পরিচালিত আরআরবি নামে ইটভাটা ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানের ভীতরে থাকা ৫বিঘা জমি ক্রয় করেন বগুড়া-৪ আসনের(নন্দীগ্রাম-কাহালু)বিএনপি’র সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনে। এ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি।
ভুক্তভোগি ফিরোজ আলী জানান, শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় অবস্থিত আরআরবি নামে তার এই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চলে আসছে অন্তত ৩৫ বছর ধরে। হঠাং করেই গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ইটভাটার খোলায় সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে সীমানা আঁকা হয়েছে। এতে যেমন ইট খোলায় আগুন দেওয়ার সমস্যার মুখে পড়েছে তেমনি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
১৯ অক্টোবর শনিবার আরআরবি ইটভাটার প্রপাইটর ফিরোজ আলী সংবাদ সন্মেলনে বলেন, তার ইটভাটাটি অন্তত ৩২ বিঘা জমি উপর চলছে। এরমধ্যে তার নিজস্ব জমি রয়েছে অন্তত ২৬ বিঘা। অবশিষ্ট জমিগুলো স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের। বছর ভিত্তিক লীজ দিয়ে অবশিষ্ট জমিগুলো তিনি টাকা প্রদান করে থাকেন। তিনি রাজনীতিভাবে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। উপজেলার সহ-সভাপতি পদেও তিনি রয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, এই ইট খোলার মধ্যে অন্তত ৫ বিঘা জমি ক্রয় করতে শুরু করেছে বগুড়া-৪ আসনের (নন্দীগ্রাম- কাহালু) বিএনপি’র সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন। যে জমি কেনা হচ্ছে সেটি যে এই ভাটার মধ্যে এই বিষয়টিও জানেন মোশারফ হোসেন।
তবুও তিনি একই দল করার পরও তার পায়ের সাথে পা বাঁধিয়ে এই জমি কেনার অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপি দলীয় সাবেক এই এমপি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় কিছু দালাল চক্র আর্থিক লাভের আশায় এমনটি ঘটানোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে এ বিষয়েসাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে গত শুক্রবার একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরআরবি ইটখোলার মালিক ফিরোজ আলী বলেন, তার ইটখোলা যদি বন্ধ হয় তাহলে এই ব্যবসা সাথে জড়িত অন্তত শতাধিক মানুষ উপার্জনহীন হয়ে পড়বে। তাদের পরিবারেও দেখা দিবে আর্থিক অসচ্ছলতা।
বিগত ১৭ বছর তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরোধিতা করে ব্যবসা চালিয়ে আসতে হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ স্বাধীনের পর এখনো তার ব্যবসা নিয়ে নতুন করে হুমকির মুখে পড়ছেন তিনি। ব্যবসা বন্ধের হুমকি দেয়া হয়েছে তার দলীয় রাজনীতির নেতাদের মধ্য থেকে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকগণ যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেন তাহলে তার ইট খোলাটি চালু থাকতে পারে। এতে তার এই ব্যবসার সাথে জড়িত অন্তত শতাধিক ব্যক্তি উপার্জন করে তাদের সংসার চালাতে পারবে।