ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে হেরোইন সহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরা ট্রাক ট্রাকংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের একপেশে ও পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ নওগাঁয় বহুল আলোচিত যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন জয়পুরহাট আক্কেলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ট্রাক্টর চালক নিহত হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে পালিত হল সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে প্রতিবেশীর মতো: বগুড়ায় সারজিস আলম আদমদীঘি সাঁওইল হাটবাজারে শীতবস্ত্র বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নোতি পেলেন শিবগঞ্জের ইউ এন ও আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ শিক্ষকদের মাঝে প্রীতি ভলিবল টুর্ণামেন্ট

বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

শাহ আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

 

বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বৈষম্যের শিকার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলন করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ার সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের কোন রকমের জবাবদিহিতা নাই। ফলে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী থেকে আদায়কৃত সেশন ফি, বেতন সহ অন্যান্য ফি সমূহের সুষ্ঠু বণ্টন না থাকায় শিক্ষকবৃন্দের বেতন, বোনাস সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে।

 

শিক্ষকরা জানান, আমরা ২০১৮ সাল থেকে মাসিক বেতন নিয়মিত পাই না। প্রতি ২-৩ মাস পর পর ১ মাসের বেতন পেয়ে থাকি করোনাকালীন সময়ে যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ৩০-৩৫ জন শিক্ষককে কোনোরূপ ক্ষতিপূরণ না দিয়েই বিনা বেতনে ৬-৭ মাস বসিয়ে রাখা হয়। এবং অবশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দের (৩৬ জন) সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে অধ্যক্ষ প্রভাব খাটিয়ে মাসের বেতন ৫০% কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ৫০% বেতনের পুরোটাই বকেয়া থেকে যায়। সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা করোনাকালীন বকেয়া প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা আশ্বাস দিয়েও নানা অযুহাতে আজ অবধি পরিশোধ করেনি। অথচ করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের বেতন পরিশোধ করেছে। করোনাকালীন সময় থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের ও অধ্যক্ষ উদাসীনতা ও ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি বছর অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে। অধ্যক্ষ কলেজের ক্যাম্পাস আবাসিক হিসেবে তার আত্মীয়দের মধ্যে ফ্লাট হিসেবে বিক্রি করে দেন। এইসব প্রতিবাদ করতে গেলে অধ্যক্ষ ও তার মিলিয়ে দেওয়া বাহিনী দ্বারা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। কোথায় কোথায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। উক্ত স্কুল এন্ড কলেজের হিসাব রক্ষক অধ্যক্ষর নিজ শ্যালক হওয়ার কারণে কেউ প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব নিতে সাহস দেখায় না।

 

অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুল উন্নয়নের নামে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অর্থ নিয়েও স্কুলের কোন উন্নয়ন করেনি। শিক্ষার্থীদের যে ক্যান্টিনে আছে সেখানেও পচা ও বাঁশি খাবার সরবরাহ করে অধ্যক্ষ। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানে কোন সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। অধ্যক্ষ একক স্বেচ্ছাচারিতার ও শিক্ষার্থীদেরকে কথায় কথায় টিসি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

 

এইসব বিষয়ে অধ্যক্ষ তার বক্তব্যে জানায়, উক্ত প্রতিষ্ঠান অর্থ সংকট থাকার কারণে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ঠিক মত আমরা প্রদান করতে পারিনি, তবে পর্যায়ক্রমে আমরা শিক্ষকদের বাকি সমস্ত বেতন ভাতা প্রদান করবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ফ্লাট হিসেবে বিক্রি করার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

বগুড়া ওয়াইএমসিএ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:২৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

 

বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বৈষম্যের শিকার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলন করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ার সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের কোন রকমের জবাবদিহিতা নাই। ফলে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী থেকে আদায়কৃত সেশন ফি, বেতন সহ অন্যান্য ফি সমূহের সুষ্ঠু বণ্টন না থাকায় শিক্ষকবৃন্দের বেতন, বোনাস সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে।

 

শিক্ষকরা জানান, আমরা ২০১৮ সাল থেকে মাসিক বেতন নিয়মিত পাই না। প্রতি ২-৩ মাস পর পর ১ মাসের বেতন পেয়ে থাকি করোনাকালীন সময়ে যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ৩০-৩৫ জন শিক্ষককে কোনোরূপ ক্ষতিপূরণ না দিয়েই বিনা বেতনে ৬-৭ মাস বসিয়ে রাখা হয়। এবং অবশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দের (৩৬ জন) সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে অধ্যক্ষ প্রভাব খাটিয়ে মাসের বেতন ৫০% কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ৫০% বেতনের পুরোটাই বকেয়া থেকে যায়। সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা করোনাকালীন বকেয়া প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা আশ্বাস দিয়েও নানা অযুহাতে আজ অবধি পরিশোধ করেনি। অথচ করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের বেতন পরিশোধ করেছে। করোনাকালীন সময় থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের ও অধ্যক্ষ উদাসীনতা ও ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি বছর অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে। অধ্যক্ষ কলেজের ক্যাম্পাস আবাসিক হিসেবে তার আত্মীয়দের মধ্যে ফ্লাট হিসেবে বিক্রি করে দেন। এইসব প্রতিবাদ করতে গেলে অধ্যক্ষ ও তার মিলিয়ে দেওয়া বাহিনী দ্বারা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। কোথায় কোথায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। উক্ত স্কুল এন্ড কলেজের হিসাব রক্ষক অধ্যক্ষর নিজ শ্যালক হওয়ার কারণে কেউ প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব নিতে সাহস দেখায় না।

 

অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুল উন্নয়নের নামে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অর্থ নিয়েও স্কুলের কোন উন্নয়ন করেনি। শিক্ষার্থীদের যে ক্যান্টিনে আছে সেখানেও পচা ও বাঁশি খাবার সরবরাহ করে অধ্যক্ষ। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানে কোন সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। অধ্যক্ষ একক স্বেচ্ছাচারিতার ও শিক্ষার্থীদেরকে কথায় কথায় টিসি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

 

এইসব বিষয়ে অধ্যক্ষ তার বক্তব্যে জানায়, উক্ত প্রতিষ্ঠান অর্থ সংকট থাকার কারণে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ঠিক মত আমরা প্রদান করতে পারিনি, তবে পর্যায়ক্রমে আমরা শিক্ষকদের বাকি সমস্ত বেতন ভাতা প্রদান করবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ফ্লাট হিসেবে বিক্রি করার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।।