বগুড়ায় ১২ থানায় পুলিশের সীমিত কার্যক্রম চলছে, সেনা নিরাপত্তায়
- আপডেট সময় : ০৭:২১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া জেলার ১২টি থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বাহিরে টহল বাদে প্রতিটি থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। তবে সব কার্যক্রম অভ্যন্তরীণ।
গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা জেলার ১২টি থানার কার্যক্রম শুরু করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান। তিনি বলেন, সদর থানা পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে বসার মত পরিবেশ নেই৷ সদর থানার কার্যক্রম ডিবি কার্যালয়ে চলছে।
বগুড়া সদর উপজেলায় দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রতিটি থানায় সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ লোকজন বগুড়ার বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় জেলার সকল থানার কার্যক্রম। বর্তমানে টহল বাদে সব ধরণের কার্যক্রম চলছে জানিয়েছেন সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা থানাতেই ছিলাম এবং আছি। শুক্রবার থেকে খুব সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে বাইরের কার্যক্রমে পুলিশ এখনও অংশ নেয়নি।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নন্দীগ্রাম উপজেলা শান্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, থানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এলাকায় খুব বেশি লোকজন নেই। আমরা থানাতে কার্যক্রম শুরু করেছি৷ তবে সব কার্যক্রম অভ্যন্তরীণ।
এ বিষয়ে শেরপুর থানায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় থানার মধ্যে সকল অফিসারদেরকে তারা ভিতরে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করছে।