বগুড়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও চলছে বন্ধ করে দেওয়া লাইসেন্সবিহীন সিএনজি স্টেশন
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ সিএনজি স্টেশনটি ১৬ মার্চ শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আর্থিক সাজা দিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী কাগজপত্র, ভূ গর্ভস্থ ট্যাংক এবং স্থাপনা নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারো চালু করা হয়েছে।
শনিবার(৬ এপ্রিল) সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, একটি টিনের ঘরের সামনে টিনের সেটের নিচে গ্যাস সরবরাহের জন্য ফুয়েল ডিস্পেন্সার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। টিনের বেড়ার পেছনেই আড়ালে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক। আর ট্রাকের উপরে ও মাটিতে সেট করে রাখা আছে প্রায় শতাধিক বড় বড় গ্যাসের সিলিন্ডার। সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে ফুয়েল ডিসপেন্সার মেশিনে গ্যাস সরবরাহের সংযোগ দেয়া হয়েছে। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকলেও এই সিএনজি স্টেশনের মালিকের রয়েছে প্রভাব, প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতা।
আর সেই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে স্থাপিত এই সিএনজি স্টেশন থেকে অতিরিক্ত দামে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত তিন চাকার অটোতো নিয়মিত সিএনজি বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রতি সিএফটি সিএনজি গ্যাসের মূল্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে ১২ থেকে ১৫ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় এবং ওজনে কম দেওয়া হয় বলে প্রমাণ রয়েছে।
সিএনজি স্টেশনের স্বত্তাধিকারী ও ভবানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের (০১৭১৮১৩০০৬৪) সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার হামিদুল বলেন, অনুমতি নিয়ে পাম্পটি চালু করেছি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন কে বলেন, ভবানীপুরের ভ্রাম্যমান সিএনজি স্টেশনটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে আসা হয়েছিল। চালু করেছে কিনা জানা নাই। এখন জানতে পারলাম দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইন অমান্য করলে অবশ্যই আইনানুগভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।