ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বগুড়ায় নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার ধমকপাড়া থেকে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। নিহত শিশুটির নাম মাহাদি হাসান ( ৫)। বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত শিশুটি গতকাল নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় তাহমিনা খাতুন নামে এক নারীকে আটক করেছেন। পুলিশ জানান আটককৃত তাহমিনার ঘর তল্লাশি করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপরনের বিষয়ে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছেন । এতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় ও পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু মাহাদি হাসান হোটেল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ছেলে। শহরের চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় তার একটি খাবার হোটেল রয়েছে। এছাড়া আটক তাহমিনা খাতুন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জানগ্রাম এলাকার আনিস মন্ডলের স্ত্রী। তবে সে নিশিন্দারা ধমকপড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। শিশু মাহাদির চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে শিশু মাহাদি নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। দিনভর তাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে মাহদির বাবা শফিকুল ইসলাম বগুড়া সদর থানার একটি জিডি করেন। তাহমিনা শিশুর মাহাদির লাশ বস্তায় ভরে সেখানে রেখে পালানোর চেষ্টা করছিল। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তা দেখে ফেলে। বিষয়টি তিনি চিৎকার করে জানালে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। এরপর লোকজন অপহরণকারী সন্দেহে তাহমিনা কে আটক করেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এবং একই সাথে তাহমিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির চাচা জাহিদুল আরো জানান তারা স্থানীয় লোকজনের মারফত খবর পেয়েছেন যে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এরপর চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে শিশুটাকে অজ্ঞান করা হয়। আটক তাহমিনা খাতুনের বাড়ি থেকে চেতনাশক ওষুধ ও একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার কথা লেখা আছে। স্থানীয় লোকজন জানান, অপহরণকারী তাহমিনা খাতুন মাস তিনেক আগে নিশিন্দারা ধমকপাড়ায় এসে শিশু মাহাদীর বাড়ির পাশে ঘর ভাড়া নেন। তাহমিনা হোটেলে রান্নার তরকারি কোটার কাজ করতো। এ বিষয়ে বগুড়া উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান। নিশিন্দাড়া ধমকপাড়ায় তাহমিনার বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় তাহমিনাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান ঘটনার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তথ্য ও উদঘাটনের জন্য পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

বগুড়ায় নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৩:২০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার ধমকপাড়া থেকে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। নিহত শিশুটির নাম মাহাদি হাসান ( ৫)। বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত শিশুটি গতকাল নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় তাহমিনা খাতুন নামে এক নারীকে আটক করেছেন। পুলিশ জানান আটককৃত তাহমিনার ঘর তল্লাশি করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপরনের বিষয়ে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছেন । এতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় ও পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু মাহাদি হাসান হোটেল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ছেলে। শহরের চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় তার একটি খাবার হোটেল রয়েছে। এছাড়া আটক তাহমিনা খাতুন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জানগ্রাম এলাকার আনিস মন্ডলের স্ত্রী। তবে সে নিশিন্দারা ধমকপড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। শিশু মাহাদির চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে শিশু মাহাদি নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। দিনভর তাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে মাহদির বাবা শফিকুল ইসলাম বগুড়া সদর থানার একটি জিডি করেন। তাহমিনা শিশুর মাহাদির লাশ বস্তায় ভরে সেখানে রেখে পালানোর চেষ্টা করছিল। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তা দেখে ফেলে। বিষয়টি তিনি চিৎকার করে জানালে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। এরপর লোকজন অপহরণকারী সন্দেহে তাহমিনা কে আটক করেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এবং একই সাথে তাহমিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির চাচা জাহিদুল আরো জানান তারা স্থানীয় লোকজনের মারফত খবর পেয়েছেন যে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এরপর চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে শিশুটাকে অজ্ঞান করা হয়। আটক তাহমিনা খাতুনের বাড়ি থেকে চেতনাশক ওষুধ ও একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার কথা লেখা আছে। স্থানীয় লোকজন জানান, অপহরণকারী তাহমিনা খাতুন মাস তিনেক আগে নিশিন্দারা ধমকপাড়ায় এসে শিশু মাহাদীর বাড়ির পাশে ঘর ভাড়া নেন। তাহমিনা হোটেলে রান্নার তরকারি কোটার কাজ করতো। এ বিষয়ে বগুড়া উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান। নিশিন্দাড়া ধমকপাড়ায় তাহমিনার বাড়ির পাশ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় তাহমিনাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান ঘটনার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তথ্য ও উদঘাটনের জন্য পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।