ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আদমদীঘিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আদমদীঘি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাহিদুল বারীর ইন্তেকাল আদমদীঘিতে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ ওয়াইডব্লিউসিএ- এর আয়োজনে “রাইজ আপ” প্রকল্পের এ্যাডভোকেসি সেমিনার অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পুরিপুষ্ট হবে না- শামসুজ্জামান দুদু আদমদিঘীতে জেঁকে বসেছে শীত কাহিল হয়ে পরেছে ছিন্নমূলসহ সববয়সী মানুষ আদমদীঘিতে গাঁজাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ক্ষমতায় গেলে ১২ মাস কৃষকের মুখে হাসি থাকবে -হাসান জাফির তুহিন আজ ”আরুশ”এর জন্মদিন আদমদীঘিতে ৬ মাদক সেবনকারীর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রতিবাদকারী আলহাজ্ব মো. মুক্তার হোসেন গাজী
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় গত ৩০ ডিসেম্বর ‘মদের ব্যবসায় মাতব্বরিতে ও রাজনৈতিক কানেকশন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর। এটি অপসাংবাদিকতার একটি প্রকৃষ্ট উদাহারণ বটে। কারণ সংবাদের শুরুতেই আমার পৈতৃক পরিচয় তুলে ধরে বলা হয়েছে- আমার বাবা একজন ভ্যানচালক ছিলেন। আমি হতদরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলাম। ভাগ্য বদলের আশায় আমি ঢাকায়। এসেছিলাম ইত্যাদি।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি হতদরিদ্র ছিলাম অথবা আমার বাবা ভ্যান চালক ছিলেন বলে আমি কি কোনো অপরাধ করেছি? দরিদ্র থাকলে কেউ কি আর সচ্ছল হতে পারবে না? এক্ষেত্রে কি কালবেলা পত্রিকার কাছ থেকে কোনো পূর্বানুমতি নিতে হবে ? তাছাড়া তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই-আমি একজন বড় মাপের অপরাধী। তাহলেও কি আমার পিতা এ জন্য দোষী হতে পারে। কোনো পত্রিকা তাকে ভ্যানচালক বলে তাচ্ছিল্য করতে পারে? আপনাদের বিবেকের কাছে আমি প্রশ্ন রেখে গেলাম। আমি নির্দিধায় বলতে চাই, হ্যাঁ, আমি দরিদ্র ছিলাম। দরিদ্র পরিবারে আমার জন্ম। কিন্তু আমি আমার অতীত পরিচয় নিয়ে মোটেও কুণ্ঠিত নই। দরিদ্র পিতার পরিচয় দিয়ে আমি বরং সম্মানিত হই।

কারণ আমি কোনো অপরাধ করে আজকের অবস্থানে আসিনি। দিন রাত অক্লান্ত শ্রম আর মেধার বিনিময়ে আমি আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছি। কারো দয়া বা আনুকলো নয়। এছাড়া আমি অবৈধ পথেও কোনো সম্পদ উপার্জন করিনি। বাংলাদেশের কোথাও আমার বিরুদ্ধে অপরাধ, দুর্নীতি, ঋনখেলাপি বা অর্থপাচারের অভিযোগ নেই।

আমি সম্পূর্ণ বৈধ পথে দেশের সকল আইন কানুন মেনে সরকারের কাছ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে রেস্টুরেন্ট ও বার সেক্টরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। আপনাদের বলতে চাই, আমি দীর্ঘ ৩ দশক ধরে ব্যবসা করে আসছি। একেবারে তৃনমূল থেকে শুরু করে আজ হোটেল, পর্যটন এবং বেভারেজ সেক্টরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কিন্তু তিল তিল করে গড়ে তোলা এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর কেউ কেউ কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করেছে। কোনো ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই মনগড়া এবং মিথ্যার বেসাতির মাধ্যমে তারা আমার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করে যাচ্ছে। যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এটি কোনো দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের কাজ হতে পারে না।
কালবেলা পত্রিকাটিতে আরও বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল। অবশ্য এই একটি জায়গায় কালবেলা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়েছে। কারণ বোধকরি তারা এখন নিজেরাই গভীরভাবে পরিচয় সংকটে ভুগছে।

আপনাদের অজনা নয় যে, আমাকে এর আগেও সাবেক সরকারের আমলে ব্যপকভাবে হয়রানি হতে হয়েছে। সাবেক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ওরফে ডিবি হারুনের রোষানলে পড়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিপুল অংকের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আমি আরেক দফা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কয়েক মাস আগে বিনা নোটিশে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমার প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে কোটি টাকার মূল্যে আমদানিকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানীয় জব্দ করা হয়েছে।

এমনকি ঘটনার বিষয়ে আমাদের কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমরা এসব অনাচার এবং অবিচার থেকে পরিত্রাণ চাই। একই সঙ্গে কালবেলাসহ যে কোনো গণমাধ্যমের কাছ থেকে দায়িত্বশীল সংবাদিকতা প্রত্যশা করি। যাতে দেশ এবং জাতি উপকৃত হতে পারে। কারো চরিত্র হনন বা হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে কাউকে ছোটভাবে উপস্থাপনের এই ধ্বসাত্বক প্রবণতা অচিরেই বন্ধ রাখবে বলে আমাদের প্রত্যশা।

প্রতিবাদকারী
আলহাজ্ব মো. মুক্তার হোসেন গাজী
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় গত ৩০ ডিসেম্বর ‘মদের ব্যবসায় মাতব্বরিতে ও রাজনৈতিক কানেকশন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর। এটি অপসাংবাদিকতার একটি প্রকৃষ্ট উদাহারণ বটে। কারণ সংবাদের শুরুতেই আমার পৈতৃক পরিচয় তুলে ধরে বলা হয়েছে- আমার বাবা একজন ভ্যানচালক ছিলেন। আমি হতদরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলাম। ভাগ্য বদলের আশায় আমি ঢাকায়। এসেছিলাম ইত্যাদি।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি হতদরিদ্র ছিলাম অথবা আমার বাবা ভ্যান চালক ছিলেন বলে আমি কি কোনো অপরাধ করেছি? দরিদ্র থাকলে কেউ কি আর সচ্ছল হতে পারবে না? এক্ষেত্রে কি কালবেলা পত্রিকার কাছ থেকে কোনো পূর্বানুমতি নিতে হবে ? তাছাড়া তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই-আমি একজন বড় মাপের অপরাধী। তাহলেও কি আমার পিতা এ জন্য দোষী হতে পারে। কোনো পত্রিকা তাকে ভ্যানচালক বলে তাচ্ছিল্য করতে পারে? আপনাদের বিবেকের কাছে আমি প্রশ্ন রেখে গেলাম। আমি নির্দিধায় বলতে চাই, হ্যাঁ, আমি দরিদ্র ছিলাম। দরিদ্র পরিবারে আমার জন্ম। কিন্তু আমি আমার অতীত পরিচয় নিয়ে মোটেও কুণ্ঠিত নই। দরিদ্র পিতার পরিচয় দিয়ে আমি বরং সম্মানিত হই।

কারণ আমি কোনো অপরাধ করে আজকের অবস্থানে আসিনি। দিন রাত অক্লান্ত শ্রম আর মেধার বিনিময়ে আমি আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছি। কারো দয়া বা আনুকলো নয়। এছাড়া আমি অবৈধ পথেও কোনো সম্পদ উপার্জন করিনি। বাংলাদেশের কোথাও আমার বিরুদ্ধে অপরাধ, দুর্নীতি, ঋনখেলাপি বা অর্থপাচারের অভিযোগ নেই।

আমি সম্পূর্ণ বৈধ পথে দেশের সকল আইন কানুন মেনে সরকারের কাছ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে রেস্টুরেন্ট ও বার সেক্টরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। আপনাদের বলতে চাই, আমি দীর্ঘ ৩ দশক ধরে ব্যবসা করে আসছি। একেবারে তৃনমূল থেকে শুরু করে আজ হোটেল, পর্যটন এবং বেভারেজ সেক্টরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কিন্তু তিল তিল করে গড়ে তোলা এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর কেউ কেউ কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করেছে। কোনো ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই মনগড়া এবং মিথ্যার বেসাতির মাধ্যমে তারা আমার সুনাম নষ্টের চেষ্টা করে যাচ্ছে। যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এটি কোনো দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের কাজ হতে পারে না।
কালবেলা পত্রিকাটিতে আরও বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল। অবশ্য এই একটি জায়গায় কালবেলা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়েছে। কারণ বোধকরি তারা এখন নিজেরাই গভীরভাবে পরিচয় সংকটে ভুগছে।

আপনাদের অজনা নয় যে, আমাকে এর আগেও সাবেক সরকারের আমলে ব্যপকভাবে হয়রানি হতে হয়েছে। সাবেক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ওরফে ডিবি হারুনের রোষানলে পড়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিপুল অংকের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আমি আরেক দফা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কয়েক মাস আগে বিনা নোটিশে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমার প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে কোটি টাকার মূল্যে আমদানিকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানীয় জব্দ করা হয়েছে।

এমনকি ঘটনার বিষয়ে আমাদের কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমরা এসব অনাচার এবং অবিচার থেকে পরিত্রাণ চাই। একই সঙ্গে কালবেলাসহ যে কোনো গণমাধ্যমের কাছ থেকে দায়িত্বশীল সংবাদিকতা প্রত্যশা করি। যাতে দেশ এবং জাতি উপকৃত হতে পারে। কারো চরিত্র হনন বা হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে কাউকে ছোটভাবে উপস্থাপনের এই ধ্বসাত্বক প্রবণতা অচিরেই বন্ধ রাখবে বলে আমাদের প্রত্যশা।

প্রতিবাদকারী
আলহাজ্ব মো. মুক্তার হোসেন গাজী
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক