ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার সান্তাহারে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ একজন গ্রেপ্তার জেলা যুবলীগের আয়োজনে ইফতার বিতরণ আদমদীঘিতে স্বামী স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট মামলায় আরো দুইজন গ্রেফতার আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত সিরাজদিখানে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধুনট থিয়েটারের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ঔষধ বাজারে সয়লাব বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পলে সিরাজগঞ্জে বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত মনন সাহিত্য সংগঠনের পাক্ষিক অধিবেশন এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সিএনজি চালিত গাড়ির সিলিন্ডার রি-টেস্টিং শতভাগ নিশ্চিত করা সময়েরদাবী গোমস্তাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত ঝুঁকিপূর্ণ ডাকঘরে আতঙ্কে চলছে ডাকসেবা দীর্ঘ ২৪ বছর অবৈধভাবে চাকুরী করছেন সাতক্ষীরার এ্যাড. আব্দুর রহমান কলেজের ৫ শিক্ষক বগুড়া জেলা ছাত্রদলের কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে ধুনটে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল গোমস্তাপুরে গভীর নলকূপ স্থাপনে বি এম ডি এর অনিয়ম। যদি জাতিকে, সমাজকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে সমস্যা গুলো খুঁজে বের করতে হবে-ঠাকুরগাঁওয়ে সারজিস আলম নওগাঁয় আমন ধানের সবুজ ক্ষেত দুলছে কৃষকের স্বপ্ন নওগাঁ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আদিবাসীজন্মগত পঙ্গু মানবেতার জীবনযাপন নওগাঁয় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ নওগাঁয় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

নওগাঁয় সরকারি চিকিৎসা সহায়তা চান চোখে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় বগুড়ার কলোনীতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে চালানো পুলিশের বুলেটে বাম চোখে গুলিবিদ্ধ মেধাবী শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলামের পরিবার ছেলের চিকিৎসায় সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য অর্থের যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নাফিউলের পরিবার। তারপরও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে কিনা এ নিয়ে কাটছে না শঙ্কা। নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের শুকবর আলীর ছেলে নাফিউল ইসলাম। সে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বগুড়া (আইআইটিবি) নামের বেসরকারি পলিটেকনিকে কম্পিউটার বিভাগের চতুর্থ পর্বের শিক্ষার্থী। ছেলেকে প্রকৌশলী বানানোর আশা নিয়ে নাফিউলকে বগুড়াতে পাঠান তার পরিবার। দেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিজের সুন্দর ও স্বাভাবিক ভবিষ্যৎ ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত নাফিউল ইসলাম। তিন ভাইয়ের মধ্যে নাফিউল তৃতীয়। শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলাম জানান তিনি সহপাঠিদের সঙ্গে গত ১৭ জুলাই সকালে বগুড়ার কলোনীতে বগুড়া পলিটেকনিকের সামনে শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। পরের দিন ১৮ জুলাই বিকেলে মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে একটি গুলি এসে তার বাম চোখের ভিতর দিয়ে মস্তিষ্কে ঢুকে পরে। এরপর সহপাঠিরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়েই ১৯ জুলাই ঢাকার ভিশন আই সেন্টারে নিলে সেখানে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকায় একাধিকবার অপারেশন করেও এখন পর্যন্ত নাফিউলের মস্তিষ্কের মধ্যে আটকে থাকা গুলি বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। বর্তমানে নাফিউল এক চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন। আদৌ নাফিউল আরেক চোখ ফিরে পাবেন কিনা সেই নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। নাফিউলের মা জেসমিন বেগম বলেন এখন আমার ছেলের ভবিষ্যৎ কি? জানি না আমার ছেলে তার আরেকটি চোখ ফিরে পাবে কিনা। আজ শেখ হাসিনার জন্যই আমার ছেলের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেলো। তিনি চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরকারী সহযোগিতা প্রদানসহ ভবিষ্যতে ছেলের জন্য সরকারী চাকরি কামনা করেন। নাফিউলের বাবা শুকবর আলী জানান ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে বর্তমানে তিনি হিশশিম খাচ্ছেন। যে সামান্য জমি-জমা আছে সেই জমিটুকু বন্ধক রেখে নাফিউলের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়েক লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়ে গেছে। তার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে বর্তমানে নাফিউলের চিকিৎসার খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারী ভাবে সহায়তা না পেলে ছেলে নাফিউলের উন্নত চিকিৎসা অব্যাহত রাখা তার পক্ষে আর সম্ভব হবে না। তাই ছেলের আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলহাজ্ব মো: শাহজাহান আলী জানান সরকারী ভাবে নাফিউলকে সহযোগিতা করা খুবই জরুরি। শুকবর আলীর জমি-জমাও তেমন একটা নেই। যা ছিলো তা বন্ধক রেখে ছেলের চিকিৎসা করছে। সরকারী ভাবে সহযোগিতা করা না হলে মাঝ পথেই থেমে যাবে মেধাবী নাফিউলের চোখের চিকিৎসা। এছাড়া আমার পক্ষ থেকেও নাফিউলকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাফিউলের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

নওগাঁয় সরকারি চিকিৎসা সহায়তা চান চোখে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

 

কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় বগুড়ার কলোনীতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে চালানো পুলিশের বুলেটে বাম চোখে গুলিবিদ্ধ মেধাবী শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলামের পরিবার ছেলের চিকিৎসায় সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য অর্থের যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নাফিউলের পরিবার। তারপরও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে কিনা এ নিয়ে কাটছে না শঙ্কা। নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের শুকবর আলীর ছেলে নাফিউল ইসলাম। সে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বগুড়া (আইআইটিবি) নামের বেসরকারি পলিটেকনিকে কম্পিউটার বিভাগের চতুর্থ পর্বের শিক্ষার্থী। ছেলেকে প্রকৌশলী বানানোর আশা নিয়ে নাফিউলকে বগুড়াতে পাঠান তার পরিবার। দেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিজের সুন্দর ও স্বাভাবিক ভবিষ্যৎ ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত নাফিউল ইসলাম। তিন ভাইয়ের মধ্যে নাফিউল তৃতীয়। শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলাম জানান তিনি সহপাঠিদের সঙ্গে গত ১৭ জুলাই সকালে বগুড়ার কলোনীতে বগুড়া পলিটেকনিকের সামনে শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। পরের দিন ১৮ জুলাই বিকেলে মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে একটি গুলি এসে তার বাম চোখের ভিতর দিয়ে মস্তিষ্কে ঢুকে পরে। এরপর সহপাঠিরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়েই ১৯ জুলাই ঢাকার ভিশন আই সেন্টারে নিলে সেখানে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকায় একাধিকবার অপারেশন করেও এখন পর্যন্ত নাফিউলের মস্তিষ্কের মধ্যে আটকে থাকা গুলি বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। বর্তমানে নাফিউল এক চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন। আদৌ নাফিউল আরেক চোখ ফিরে পাবেন কিনা সেই নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। নাফিউলের মা জেসমিন বেগম বলেন এখন আমার ছেলের ভবিষ্যৎ কি? জানি না আমার ছেলে তার আরেকটি চোখ ফিরে পাবে কিনা। আজ শেখ হাসিনার জন্যই আমার ছেলের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেলো। তিনি চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরকারী সহযোগিতা প্রদানসহ ভবিষ্যতে ছেলের জন্য সরকারী চাকরি কামনা করেন। নাফিউলের বাবা শুকবর আলী জানান ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে বর্তমানে তিনি হিশশিম খাচ্ছেন। যে সামান্য জমি-জমা আছে সেই জমিটুকু বন্ধক রেখে নাফিউলের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়েক লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়ে গেছে। তার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে বর্তমানে নাফিউলের চিকিৎসার খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারী ভাবে সহায়তা না পেলে ছেলে নাফিউলের উন্নত চিকিৎসা অব্যাহত রাখা তার পক্ষে আর সম্ভব হবে না। তাই ছেলের আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আলহাজ্ব মো: শাহজাহান আলী জানান সরকারী ভাবে নাফিউলকে সহযোগিতা করা খুবই জরুরি। শুকবর আলীর জমি-জমাও তেমন একটা নেই। যা ছিলো তা বন্ধক রেখে ছেলের চিকিৎসা করছে। সরকারী ভাবে সহযোগিতা করা না হলে মাঝ পথেই থেমে যাবে মেধাবী নাফিউলের চোখের চিকিৎসা। এছাড়া আমার পক্ষ থেকেও নাফিউলকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাফিউলের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।