নওগাঁয় সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল বেড়েছে মরিচের দাম
- আপডেট সময় : ০১:১১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। হাসিনা পালানোর আগে ও পরে পুরো দেশ অচল হয়ে পড়েছিলো। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহণ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে বিশেষ করে নওগাঁয় সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। তবে ধীরে ধীরে সবজির দাম কিছুটা কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে। শনিবার (১৭আগস্ট) সকালে নওগাঁ পাইকারি সবজির কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে নওগাঁর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, আগের সপ্তাহে যা ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়। তবে ছোট দোকানগুলোতে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গত এক মাস ধরে চালের চড়া দাম একই অবস্থায় রয়েছে। বাজারে পাইজাম ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ টাকা ৭৫ এবং মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পণ্য সরবরাহ এখনো আগের মতো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এজন্য চাল-ডালের মতো নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্যগুলোর দাম এখনো আগের জায়গায় রয়েছে। পাশাপাশি সবজির দামও খুব বেশি কমেনি। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব পণ্যের দাম আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন তারা। অপরদিকে সবজির বাজারে গত সপ্তাহে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল। তবে চলতি সপ্তাহে সবজির দরে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি। এদিন বাজারে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা দরে। এছাড়া প্রতি কেজি পটল, পেপে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার উপরে ছিলো। নওগাঁ সদর মুক্তির মোড়ের ক্রেতা আব্দুল জব্বার জানান আন্দোলনের আগে ও আন্দোলনের মধ্যেও সবকিছুর দাম অনেক বেশি ছিলো। এখন কিছু কিছু পণ্যের দাম হাতের নাগালে এসেছে। তবে অনেক পণ্যের দাম এখনো অনেক বেশি। এদিকে সদর মাস্টার পাড়ার বাজার করতে আসা ফারজানা মুন্নী জানান, মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। পাশাপাশি নদীর পাঙ্গাশ মাছের কেজি ৬০০-৭০০ টাকা। এছাড়া বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি আজকে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। পৌর বাজারের ডিম ব্যবসায়ী রমজান আলি জানান, খুচরা বাজারে ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। আন্দোলনের মধ্যে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। তবে আজকের বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-৭০ টাকা দরে। এছাড়াও পৌর বাজারের মোরগী ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন আন্দোলনের মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। ছোট বাজারগুলোতে ২১০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। তবে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগী ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা ও গরু ৮০০ টাকা বাজার দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংসের দাম গত সপ্তাহেও একই রকম ছিলো।