ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে হেরোইন সহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরা ট্রাক ট্রাকংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের একপেশে ও পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ নওগাঁয় বহুল আলোচিত যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন জয়পুরহাট আক্কেলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ট্রাক্টর চালক নিহত হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে পালিত হল সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে প্রতিবেশীর মতো: বগুড়ায় সারজিস আলম আদমদীঘি সাঁওইল হাটবাজারে শীতবস্ত্র বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নোতি পেলেন শিবগঞ্জের ইউ এন ও আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ শিক্ষকদের মাঝে প্রীতি ভলিবল টুর্ণামেন্ট

নওগাঁয় সড়কের বেহাল দশা মানুষের ভোগান্তি

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

 

নওগাঁর পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাটাবাড়ি মোড় হতে বিলছাড়া স্কুল মাঠ পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ গ্রামীণ মেঠো রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা তৈরীর ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনোও ইট পাথরের ছোঁয়া লাগেনি মাটির এই সড়কে। ৩ কিমি রাস্তার মধ্যে ১কিমি পত্নীতলার এবং ২ কিমি মহাদেবপুর উপজেলার অন্তর্গত। আশপাশের সকল গ্রামীণ সড়কগুলো পাকা হলেও অজানা কারণে এই রাস্তার উন্নয়ন হয়নি। খড়া মওসুমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মওসুমে ভোগান্তি চরমে। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি ইউনিয়নের ৮-১০ টি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ১টি উচ্চ বিদ্যালয় ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহীতারা এই রাস্তায় চলাচল করে বর্ষা মওসুমে রাস্তার কাঁদায় অনেকে স্কুলে যেতে পারেনা ফলে শিক্ষা ব্যহত হয়, এমন জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ মেঠো পথে দ্রুত ইট পাথরের ছোঁয়া চান স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে জানা যায় প্রতিনিয়ত শত শত পথচারীরা এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তার কারণে যাতায়াতের জন্য কোন যানবাহন চলাচল করতে চান না আর যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাই মুশকিল হয়ে পরে। হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে রাতে কেউ এই অঞ্চলে আসতে পারে না। অপরদিকে ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বিখ্যাত এই অঞ্চলের কৃষকরা চলাচলের জন্য কোন আধুনিক সড়ক না থাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে খরচ অনেক বেশি হওয়ার কারণে নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। দেশের অনেক গ্রাম এখন শহরের সুবিধা পাচ্ছে, এমন দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি চায় এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। বিলছাড়া গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসা ডা. হারুন অর রশিদ আক্ষেপ করে বলেন এই অঞ্চলে আমরা যারা বসবাস করি তারা মনে হয় ছিটমহলের বাসিন্দা। যার কারণে আমরা স্বাধীন ভূমিতে থেকেও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। বর্ষা মৌসুমে এই মেঠোপথ দিয়ে চলাচল করতে কি পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হয় তা আমরা ছাড়া কেউ বুঝবে না। পদ্মপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ইসরাফিল ইসলাম বলেন আমাদের মহাদেবপুরর এমপি মহোদয় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়নি এখন মন্ত্রী মহোদয় কি করবেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমাদের আকুল আবেদন, অতি শীঘ্রই যেন এই রাস্তাটি সংস্কার করে এই জনদুর্ভোগ থেকে উদ্ধার করে আমরা যেন চলাচলের উপযোগী একটা রাস্তা পাই, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই রাস্তাটা আমাদের আশু প্রয়োজন। রাস্তায় চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি বলেন, আধুনিক চলাচল ব্যবস্থার অভাবে আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো আদিম যুগে বসবাস করছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল পেরিয়ে স্মার্ট নাগরিক সেবা ভোগ করছে আর আমরা এই এলাকার মানুষ যেন সেই ৮০, ৯০ দশকের এনালগ যুগেই পড়ে আছে। এই মেঠোপথে কোন দিন কোন কর্মকর্তারা এসে খোঁজ নেননি। ভোটের সময় এলেই জনপ্রতিনিধি আর নেতারা এসে মাপযোগ করে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন ভোট পার হলে ভুলে যান, ভালো রাস্তা না থাকার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়ে হয় না। বর -কনে দেখতে এসে রাস্তা দেখে সমন্ধ ভেঙে যায়, মনে হয় আমরা সৃষ্টিকর্তার অভিশপ্ত মানুষ হয়ে এই অঞ্চলে জন্ম নিয়েছি। জানিনা শেখ হাসিনার ডিজিটাল আমলে আমাদের এই মেঠোপথে ইট পাথরের ছোঁয়া স্পর্শ করবে কিনা। বিলছাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র পদ্মপুকুর গ্রামের জাহেদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রাহিমাপুর গ্রামের রাবেয়া ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা সহ অনেক শিক্ষার্থী জানান বর্ষার সময় এই রাস্তায় যেতে খুব কষ্ট হয় কাদায় হেটে যেতে পারিনা পা আটকে যায় কাঁদার মধ্যে বইয়ের ব্যাগ পড়ে যায় এ জন্য অনেক সময় স্কুল মিস হয়ে যায় রাস্তাটি পাকা হলে আমরা কোনদিনও স্কুল গাবি করবো না। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত দাস জানান মহাদেবপুরের অংশের দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য কাগজপত্র নওগাঁ পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হলে টেন্ডার হবে। এছাড়া পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল জানান ওই রাস্তাটা সামনে টেন্ডারে যাবে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, প্রকল্প অনুমোদন হলে আমাদের সাইটটা কাজ শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

নওগাঁয় সড়কের বেহাল দশা মানুষের ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৪:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

 

নওগাঁর পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাটাবাড়ি মোড় হতে বিলছাড়া স্কুল মাঠ পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ গ্রামীণ মেঠো রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা তৈরীর ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনোও ইট পাথরের ছোঁয়া লাগেনি মাটির এই সড়কে। ৩ কিমি রাস্তার মধ্যে ১কিমি পত্নীতলার এবং ২ কিমি মহাদেবপুর উপজেলার অন্তর্গত। আশপাশের সকল গ্রামীণ সড়কগুলো পাকা হলেও অজানা কারণে এই রাস্তার উন্নয়ন হয়নি। খড়া মওসুমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মওসুমে ভোগান্তি চরমে। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি ইউনিয়নের ৮-১০ টি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ১টি উচ্চ বিদ্যালয় ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহীতারা এই রাস্তায় চলাচল করে বর্ষা মওসুমে রাস্তার কাঁদায় অনেকে স্কুলে যেতে পারেনা ফলে শিক্ষা ব্যহত হয়, এমন জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ মেঠো পথে দ্রুত ইট পাথরের ছোঁয়া চান স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে জানা যায় প্রতিনিয়ত শত শত পথচারীরা এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তার কারণে যাতায়াতের জন্য কোন যানবাহন চলাচল করতে চান না আর যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাই মুশকিল হয়ে পরে। হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে রাতে কেউ এই অঞ্চলে আসতে পারে না। অপরদিকে ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বিখ্যাত এই অঞ্চলের কৃষকরা চলাচলের জন্য কোন আধুনিক সড়ক না থাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে খরচ অনেক বেশি হওয়ার কারণে নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। দেশের অনেক গ্রাম এখন শহরের সুবিধা পাচ্ছে, এমন দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি চায় এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। বিলছাড়া গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসা ডা. হারুন অর রশিদ আক্ষেপ করে বলেন এই অঞ্চলে আমরা যারা বসবাস করি তারা মনে হয় ছিটমহলের বাসিন্দা। যার কারণে আমরা স্বাধীন ভূমিতে থেকেও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। বর্ষা মৌসুমে এই মেঠোপথ দিয়ে চলাচল করতে কি পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হয় তা আমরা ছাড়া কেউ বুঝবে না। পদ্মপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ইসরাফিল ইসলাম বলেন আমাদের মহাদেবপুরর এমপি মহোদয় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়নি এখন মন্ত্রী মহোদয় কি করবেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমাদের আকুল আবেদন, অতি শীঘ্রই যেন এই রাস্তাটি সংস্কার করে এই জনদুর্ভোগ থেকে উদ্ধার করে আমরা যেন চলাচলের উপযোগী একটা রাস্তা পাই, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই রাস্তাটা আমাদের আশু প্রয়োজন। রাস্তায় চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তি বলেন, আধুনিক চলাচল ব্যবস্থার অভাবে আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো আদিম যুগে বসবাস করছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল পেরিয়ে স্মার্ট নাগরিক সেবা ভোগ করছে আর আমরা এই এলাকার মানুষ যেন সেই ৮০, ৯০ দশকের এনালগ যুগেই পড়ে আছে। এই মেঠোপথে কোন দিন কোন কর্মকর্তারা এসে খোঁজ নেননি। ভোটের সময় এলেই জনপ্রতিনিধি আর নেতারা এসে মাপযোগ করে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন ভোট পার হলে ভুলে যান, ভালো রাস্তা না থাকার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়ে হয় না। বর -কনে দেখতে এসে রাস্তা দেখে সমন্ধ ভেঙে যায়, মনে হয় আমরা সৃষ্টিকর্তার অভিশপ্ত মানুষ হয়ে এই অঞ্চলে জন্ম নিয়েছি। জানিনা শেখ হাসিনার ডিজিটাল আমলে আমাদের এই মেঠোপথে ইট পাথরের ছোঁয়া স্পর্শ করবে কিনা। বিলছাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র পদ্মপুকুর গ্রামের জাহেদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রাহিমাপুর গ্রামের রাবেয়া ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা সহ অনেক শিক্ষার্থী জানান বর্ষার সময় এই রাস্তায় যেতে খুব কষ্ট হয় কাদায় হেটে যেতে পারিনা পা আটকে যায় কাঁদার মধ্যে বইয়ের ব্যাগ পড়ে যায় এ জন্য অনেক সময় স্কুল মিস হয়ে যায় রাস্তাটি পাকা হলে আমরা কোনদিনও স্কুল গাবি করবো না। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত দাস জানান মহাদেবপুরের অংশের দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য কাগজপত্র নওগাঁ পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হলে টেন্ডার হবে। এছাড়া পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল জানান ওই রাস্তাটা সামনে টেন্ডারে যাবে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, প্রকল্প অনুমোদন হলে আমাদের সাইটটা কাজ শুরু হবে।