নওগাঁয় সংকট কাটলেও বাড়তি চালের দাম
- আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউ চলামান থাকার শেষের পরেও দেশের সব স্থানে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরেও নওগাঁয় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছিল। ফলে তলানিতে নেমে আসে মানুষের সবচেয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য চালের বেচাকেনা। এখন বেচাকেনা স্বাভাবিক হতে হতে বেড়ে গেছে চালের দাম। তবে গত এক মাসের ব্যবধানে ও চলমান পরিস্থিতির কারণে চিকন চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা করে। সনজিত, সিরাজুল, সুমন, মামুনসহ একাধিক ক্রেতা বলেন, গত গত সপ্তাহ আগে যে দামে চাল কিনেছেন, তার চেয়ে এখন চালের দাম বেশি। দিনমজুরির কাজ করে যে মজুরি পাই, দিন শেষে চাল কিনতে এসে তার পুরোটাই চলে যাচ্ছে, অন্য বাজার তো দূরের কথা। এভাবে যদি প্রতিনিয়ত চালের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আমরা নিম্নআয়ের মানুষ কোথায় গিয়ে ঠাঁই নেব। আমাদের দিকে কী সরকারের সুদৃষ্টি পড়বে না। এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, ধানের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চাল উৎপাদনের খরচও বেড়ে গেছে। শহরের খুচরা ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বুলেট মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, চলমান পরিস্থিতির কারণে চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি। প্রায় সকল চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ক্রেতার চাহিদা বেশি না থাকায় বেচাকেনা একটু কমে গেছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন চিকন চালের দাম কেজি প্রতি তিন টাকা এবং মোটা স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া স্বর্ণা চাল বাজারে তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই স্বর্ণা চালের দাম বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে স্বর্ণা চাল বাজারে আমদানি নেই জানিয়ে হাসকি মিলের ব্যবসায়ী মুকুল সরকার কালবেলাকে বলেন, অন্যান্য প্রায় সকল চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন আর পরিবহন সংকট নেই। হাসকি মিলের আরেক ব্যবসায়ী সিতানাথ ঘোষ বলেন আমাদের চালগুলো নওগাঁ মোকামে দিই, তাই পাঠাতে সমস্যা হয় না। তবে চলমান পরিস্থিতিতে বিক্রি কমে গিয়েছিল। এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে। চালের দাম ১ থেকে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাল পাঠানোর জন্য পরিবহন পাওয়া যাচ্ছিল না। ভয়ে কেউ ভাড়া দিতে চাচ্ছিল না। এখন পরিবহন সংকট নেই, কিন্তু ভাড়া বেশি লাগছে। তারপরও আমরা চাল বিক্রি স্বাভাবিক রেখেছি।