ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
  • গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল ২১ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ৫ : ৪৫ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা অভিনব পদ্ধতিতে উপরের অংশ কাটা মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে লুকায়িত অবস্থায় আলামত হিসেবে ৬৪ কেজি গঁাজা ও আলামত হিসেবে ০৪টি মোবাইল, ০৬টি সীমকার্ড ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ৫,০৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সাদ্দাম ও পলাতক আসামী শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছে বলে জানা যায়। অজ্ঞাতনামা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাদ্দাম জানায় অজ্ঞাতনামা পলাতক আরো ২ জন এই অঞ্চলের বাসিন্দা আটককৃত সাদ্দাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাইভেট কার/ উপরের অংশ কাটা মাইক্রোতে বহন করে গাঁজা সরবরাহ করে আসছিল উল্লেখ্য যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত কয়েকদিন ধরে র‍্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং ও র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল সাদ্দাম, আলমগীর ও শাওন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। অদ্য ২১-০৬-২০২৪ ইং তারিখ সময় ৫ : ৪৫ মিনিটে র‍্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর সহায়তায় অভিনব কায়দায় উপরের অংশ কাটামাইক্রোতে লুকিয়ে বহনকালে ৬৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট সাদ্দাম, আলমগীর ও শাওন কে নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন ঠ্যাংভাঙ্গার মোড় এলাকা থেকে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল আটক করে এবং পলাতক চালক শহিদুলসহ অজ্ঞাতনামা পলাতক আরো ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের উপরের অংশ কাটা মাইক্রো তল্লাশী করলে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‍্যাব- ৫,সিপিসি-৩,জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর হইতেঃ র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার বসন্তপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮), কুটিশহর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৮) এবং বড় জ্বলা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে শাওন (২১)। এছাড়া একই উপজেলার মতিনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে চালক শহিদুল (২৫) কৌশলে পালিয়ে যায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আটককৃতরা শুক্রবার একটি মাইক্রোতে গাঁজা নিয়ে নওগাঁর ওপর দিয়ে যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি দল নওগাঁ শহরের বাইপাস ঠ্যাংভাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় সকাল ৬টার দিকে উপরের অংশ কাটা একটি মাইক্রোবাস নওগাঁ থেকে বদলগাছীগামী যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে সেটি থামিয়ে তল্লাসি চালানো হয়। তল্লাশিকালে মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি করা বাক্সে কাগজ ও স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ১৪টি প্যাকেটে ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে সাদ্দাম হোসেন, আলমগীর হোসেন এবং শাওন কে আটক করা হয়।
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- আটক আসামী সাদ্দাম ও পলাতক শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে মাদক সরবরাহ করে আসছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় : ১২:৪১:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল ২১ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ৫ : ৪৫ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা অভিনব পদ্ধতিতে উপরের অংশ কাটা মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে লুকায়িত অবস্থায় আলামত হিসেবে ৬৪ কেজি গঁাজা ও আলামত হিসেবে ০৪টি মোবাইল, ০৬টি সীমকার্ড ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ৫,০৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সাদ্দাম ও পলাতক আসামী শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছে বলে জানা যায়। অজ্ঞাতনামা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাদ্দাম জানায় অজ্ঞাতনামা পলাতক আরো ২ জন এই অঞ্চলের বাসিন্দা আটককৃত সাদ্দাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাইভেট কার/ উপরের অংশ কাটা মাইক্রোতে বহন করে গাঁজা সরবরাহ করে আসছিল উল্লেখ্য যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত কয়েকদিন ধরে র‍্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং ও র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল সাদ্দাম, আলমগীর ও শাওন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। অদ্য ২১-০৬-২০২৪ ইং তারিখ সময় ৫ : ৪৫ মিনিটে র‍্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর সহায়তায় অভিনব কায়দায় উপরের অংশ কাটামাইক্রোতে লুকিয়ে বহনকালে ৬৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট সাদ্দাম, আলমগীর ও শাওন কে নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন ঠ্যাংভাঙ্গার মোড় এলাকা থেকে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল আটক করে এবং পলাতক চালক শহিদুলসহ অজ্ঞাতনামা পলাতক আরো ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের উপরের অংশ কাটা মাইক্রো তল্লাশী করলে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‍্যাব- ৫,সিপিসি-৩,জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর হইতেঃ র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার বসন্তপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮), কুটিশহর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৮) এবং বড় জ্বলা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে শাওন (২১)। এছাড়া একই উপজেলার মতিনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে চালক শহিদুল (২৫) কৌশলে পালিয়ে যায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আটককৃতরা শুক্রবার একটি মাইক্রোতে গাঁজা নিয়ে নওগাঁর ওপর দিয়ে যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি দল নওগাঁ শহরের বাইপাস ঠ্যাংভাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় সকাল ৬টার দিকে উপরের অংশ কাটা একটি মাইক্রোবাস নওগাঁ থেকে বদলগাছীগামী যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে সেটি থামিয়ে তল্লাসি চালানো হয়। তল্লাশিকালে মাইক্রোর শীটের নীচে পাটাতনের প্লেন শীটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি করা বাক্সে কাগজ ও স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ১৪টি প্যাকেটে ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে সাদ্দাম হোসেন, আলমগীর হোসেন এবং শাওন কে আটক করা হয়।
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- আটক আসামী সাদ্দাম ও পলাতক শহিদুল (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে মাদক সরবরাহ করে আসছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃত আসামীদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।