নওগাঁয় মারপিটে আহত গৃহবধূর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৫:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁ জেলার রাণীনগরে রিজিনা বেগম (৪০) নামে আহত অবস্থায় এক গৃহবধূ মারা গেছেন। অভিযোগ উঠেছে গৃহবধু রিজিনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ শনিবার ৭ আগষ্ট সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান ওই গৃহবধু। নিহত রিজিনা বেগম উপজেলার ঘোষগ্রাম উত্তর শাহ্পাড়া গ্রামের মমতাজ উদ্দীনের স্ত্রী। এর আগে গত ২৭ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ঘোষগ্রাম উত্তর শাহ্পাড়া গ্রামে গৃহবধূ রিজিনাকে বেধম মারধর করেন প্রতিপক্ষরা। তাদের মারধরে গুরুত্বর আহত হয়ে রিজিনা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ্য হননি। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় আহত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষরা সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। নিহত গৃহবধূর বাবা রিয়াজ উদ্দীন শাহ্ ও স্বামী মমতাজসহ স্বজনরা জানান, গত ২৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় রিজিনা বেগম বাড়ির পাশে মাঠ থেকে গরু-ছাগলের জন্য ঘাস কেটে বাড়ির দিকে আসছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী দেলোয়ার শাহ্সহ দেলোয়ারের পরিবারের লোকজন রিজিনার জমির কিনারে পানা পরিষ্কার করছিল। রিজিনা তার জমি থেকে গরু-ছাগলের জন্য পানা কাটতে চাইলে তার জমি না বলে দাবি করে জমিতেই প্রতিপক্ষ দেলোয়ারসহ দেলোয়ারের পরিবারের ৬-৭ জন মিলে হাঁসুয়ার ডাঠ ও লাঠি-সোটা দিয়ে রিজিনাকে বুকে পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধম মারধর করেন। এমতাবস্থায় রিজিনার চিৎকারে স্বামী মমতাজ এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে তারা। স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় রিজিনাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রিজিনাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আহত অবস্থায় রিজিনার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ দেলোয়ারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে রাণীনগর থানায় মামলা করা হয়েছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। রাণীনগর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে শনিবার সকালেই গৃহবধূ রিজিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।