নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ অনশনে গৃহবধূ
- আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূ (২০) কে ধর্ষণ। ঘটনাটি জানাজানি’র পর স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার পর ভিকটিম গৃহবধূ বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম (২৫) এর বাড়িতে অনশন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মির্জাপুর (বটতলা) গ্রামে। অভিযুক্ত মাজেদুল সাতক্ষিরা ইন্টারন্যাশনাল হেফজুল কুরআন মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে মির্জাপুর (বটতলা) গ্রামের জনৈক গৃহবধু (২০) কে একই গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে মাজেদুল ইসলাম ধর্ষণ করেন।বিষয়টি এলাকায় লোকজনের মাঝে জানাজানি হলে ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় মাতব্বরা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করেন। কিন্তু অভিযুক্ত মাজেদুল বা তার পরিবারের কোন লোকজন সেখানে উপস্থিত হননি। অপরদিকে ঘটনা প্রকাশের পরই শ্বশুর পরিবারের চাপে ভিকটিম গৃহবধূ গত শনিবার সকালে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হোন। এরপর সে মাজেদুলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করতে থাকে। মাজেদুল ইসলাম কয়েকদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জায়েদা বেওয়া নামে এক নারী সংবাদকর্মীদের বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে তাদের দুই জনকে অনৈতিক কাজ করতে দ্যাখেন তিনি। পরে স্থায়ীয় আরো কয়েক জন সেখান থেকে তাদেরকে চলে যেতে দেখতে পান। মির্জানগর গ্রামের মৃত নবীর উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, আশরাফ আলীসহ আরো কয়েক জন বলেন, মাজেদুল ইসলাম একজন হাফেজ হলেও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, তিনি গত বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুরে কাপড় কেচে মাদ্রাসার কাটাতারের বেড়ায় শুকাতে দিয়ে ফেরার পথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাজেদুল ইসলাম তাকে ইচ্চার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক অ-শান্তি সৃষ্টি হলে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হই। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই মাজেদুল বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। এতে সাড়া না দিলে তার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করত। অপরদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন পান কিনতে মোড়ের দোকানে গিয়েছিলাম। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় প্রসাব করার জন্য দোকানের পিছনে যাই। ঘটনার ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাশমত আলী বলেন, থানায় এখন পর্যন্ত (সংবাদ সংগ্রহকালে) এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।