নওগাঁয় দীর্ঘ একযুগ পর মা ও ছেলের হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁয় মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে সুমন সরকার ওরফে টিটু (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন সরকার নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তুলারামপুর এলাকার বাসিন্দা। জয়ন্ত কুমার সরকারের কাকাতো ভাই। রায়ের সময় আসামি সুমন সরকার এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সাউথ ইস্ট ব্যাংক নওগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক জয়ন্ত কুমার সরকারের স্ত্রী অনিতা সরকার (৩৩) ও জয়তু সরকার (৬) নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার নওগাঁ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর এই হত্যাকান্ড রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সুমন সরকারকে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষ্মণপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামি সুমন সরকার মা ও ছেলেকে হত্যায় দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে জবানবন্দি দেন। ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকারের কাছে অর্থ দাবি করে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে সুমন সরকার। নওগাঁয় হত্যাকান্ড ঘটানোর পর সুমন কুমিল্লায় আশ্রয় নেন। সেখানে মাদক কেনা-বেচায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৫ জুন সুমন সরকারকে একমাত্র আসামি করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয়পক্ষের আইনজীবীর শুনানি নিয়ে ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সুমন সরকারের বিরুদ্ধে এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সামসুর রহমান। আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন আইনজীবী শুভ্র সাহা। সরকারি কৌঁসুলি সামসুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে করা ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামি সুমন সরকারকে গলায় ফাঁসি দ্বারা ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মৃত্যুদন্ড অনুমোদন সাপেক্ষে প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হবে। অন্যদিকে মৃত্যুদন্ডের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শুভ্র সাহা