নওগাঁয় তীব্র তাপদাহে এক জন ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৫:১৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁয় তীব্র গরমের আবারও এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনের বরাত দিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর কারণ হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে তিনি ডায়াবেটিসসহ অন্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এ নিয়ে গরমে গত চার দিনে জেলায় দুই ধানকাটা শ্রমিক ও এক শিক্ষকের মৃত্যু হলো। ওই শ্রমিকের নাম হাসান গাইনি (৪১)। তিনি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দূরদূরি গ্রামের আমজাদ গাইনির ছেলে।
সোমবার ভোর তিনটার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে রোববার সকালে জেলার রানীনগর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হন। ওই গ্রামের স্থানীয়রা জানান, মাঠে ধান কাটার সময় হাসান তীব্র গরমে হঠাৎ করে জ্বর ও মাথার সমস্যা দেখা দেয়। তাকে মাঠ থেকে অন্য শ্রমিকরা বাড়ি নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। রাতে ১০টার দিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নওগাঁ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক জানান, হাসপাতালে আনার সময় ওই রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা হয়। কিন্তু স্বজনরা না নেওয়ায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে শোনা জানা গেছে, হাসান তীব্র গরমে অসুস্থ হয়েছিলেন। তবে তিনি ডায়াবেটিসসহ অন্য রোগেও তিনি আক্রান্ত ছিলেন। ফলে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পরেছেন।
এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা গ্রামে ধান কাটার সময় রেজাউল ইসলাম (৪৬) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে তীব্র গরমে সহকারী শিক্ষক ও পেশ ইমাম শাহাদাত হোসেনের (৪২) মৃত্যু হয়।
নওগাঁ জেলায় গত এক মাস ধরে প্রায় ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৮-৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার বিকেল তিনটায় ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি এবং দুপুর ১২টায় ৩৮ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মনির আলী আকন্দ জানান, নওগাঁয় তীব্র গরমে এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রেকর্ড সৃষ্টি করে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড সৃষ্টি করে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি এই তীব্র গরমে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না যাওয়া, পর্যাপ্ত পানি ও তরলজাতীয় খারাব খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।