ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ছড়িয়ে পড়ছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ

শিমুল হাসান, (নওগাঁ) প্রতিনিধি : 
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁয় ছড়িয়ে যাচ্ছে গরুর ভাইরাসজনিত রোগ ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ। ফলে আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গরু খামারীরা।

এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় খামারীদের মধ্যে আরো আতঙ্ক বেড়েছে গেছে। উপজেলার বড়গ্রাম হালাইহুলাই গ্রামের গরু পালনকারী শরীফ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন জানান, তার একটি গরুর খামার রয়েছে।

হঠাৎ করে তার ৩ টি গরু আক্রান্ত হলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও গরুগুলি মারাগেছে। এতে তার প্রায় দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে তার খামারে ৮ টি গরু আক্রান্ত রয়েছে। তিনি জানান, প্রথমত আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যাচ্ছে এবং দু-একদিনের মধ্যেই ফোলা স্থান থেকে মাংশ খুসে পড়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও গরুর সারা শরীর জুড়ে অসংখ্য গুটি গুটি ফোলা স্থানে ঘা হয়ে যাচ্ছে।

এ সময় গরুর শরীরে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জ¦র থাকছে। ফলে আক্রান্ত গরু কোনো কিছু খাচ্ছে না। এরইমধ্যে হঠাৎ করে আক্রান্ত গরুটি মারা যাচ্ছে।

একই কথা জানালেন, ওই গ্রামে মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলম ও তৈবুরের ছেলে মোশারফ হোসেন। উতো মধ্যে তাদের দুইটি করে গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান। তারা প্রানী সম্পদ দপ্তর কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনরোধ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, উপজেলা প্রতিটি গ্রামে এ রোগটি এক-দুটি গরুর মধ্যে দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারা অবগত আছেন। ইতোমধ্যে এ রোগের প্রতিশেধক হিসাবে “গোট পসক” নামে একটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে চাহিদা পঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিনটি পেলেই আমরা আক্রান্ত গুরু গুলিকে প্রয়োগ শুরু করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

নওগাঁয় ছড়িয়ে পড়ছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ

আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

নওগাঁয় ছড়িয়ে যাচ্ছে গরুর ভাইরাসজনিত রোগ ‘ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ। ফলে আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গরু খামারীরা।

এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় খামারীদের মধ্যে আরো আতঙ্ক বেড়েছে গেছে। উপজেলার বড়গ্রাম হালাইহুলাই গ্রামের গরু পালনকারী শরীফ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন জানান, তার একটি গরুর খামার রয়েছে।

হঠাৎ করে তার ৩ টি গরু আক্রান্ত হলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও গরুগুলি মারাগেছে। এতে তার প্রায় দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে তার খামারে ৮ টি গরু আক্রান্ত রয়েছে। তিনি জানান, প্রথমত আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যাচ্ছে এবং দু-একদিনের মধ্যেই ফোলা স্থান থেকে মাংশ খুসে পড়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও গরুর সারা শরীর জুড়ে অসংখ্য গুটি গুটি ফোলা স্থানে ঘা হয়ে যাচ্ছে।

এ সময় গরুর শরীরে ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জ¦র থাকছে। ফলে আক্রান্ত গরু কোনো কিছু খাচ্ছে না। এরইমধ্যে হঠাৎ করে আক্রান্ত গরুটি মারা যাচ্ছে।

একই কথা জানালেন, ওই গ্রামে মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলম ও তৈবুরের ছেলে মোশারফ হোসেন। উতো মধ্যে তাদের দুইটি করে গরু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান। তারা প্রানী সম্পদ দপ্তর কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনরোধ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, উপজেলা প্রতিটি গ্রামে এ রোগটি এক-দুটি গরুর মধ্যে দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারা অবগত আছেন। ইতোমধ্যে এ রোগের প্রতিশেধক হিসাবে “গোট পসক” নামে একটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে চাহিদা পঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিনটি পেলেই আমরা আক্রান্ত গুরু গুলিকে প্রয়োগ শুরু করবো।