ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সানিসহ ৭৪জনের বিরুদ্ধে ১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারনায় হামলা গাড়ী ভাংচুর ও মারপিট মামলায় গ্রেপ্তার ১
- আপডেট সময় : ০৯:২১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২৮৯ বার পড়া হয়েছে
গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী গোলাম মো: সিরাজ এর নির্বাচনী প্রচারনা বহরে সশস্ত্র হামলা, গাড়ী ভাংচুর ও মারপিট করে নেতাকর্মীদের আহত করার অভিযোগে আ.লীগের সাবেক এমপি হাবিরর রহমানের ছেলে আসিফ ইকবাল সানি ও ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) কোরবান আলী মিলনসহ ৭৪ জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কুসুম্বি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা গোলাপ বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে কুসুম্বি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও ক্ষিকিন্দা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে জামিল উদ্দিন (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে, ধনুট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানের একমাত্র সন্তান আসিফ ইকবাল সানি (৪৮), শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক (৫০), সাবেক পৌর কাউন্সিলর শুভ ইমরান (৩০), সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন (৪৫), পিএস কোরবান আলী মিলন (৪২), উলিপুর এলাকার আকবর হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের ওরফে ডিসি বাবলু (৫৫), দুবলাগাড়ীর আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আল আমিন (৩২), হাসপাতাল রোড এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে জুয়েল রানা (৩০), টাউন কলোনি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে কারিমুল ইসলাম (৩৮), মহিপুর কলোনি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে শিপন সরকার (৩২) সহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বগুড়া-৫ শেরপুর-ধুনট এর মনোনীত প্রার্থী গোলাম মো: সিরাজ নির্বাচনীয় প্রচারনার জন্য ৫-৬টি মাইক্রো জীপ গাড়ি ও ৫০-৬০টি মোটরসাইকেল নিয়ে নেতাকর্মীরা প্রচারনায় বের হন। এমন সময় নির্বাচনী প্রচারণার বহরটি কুসুম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী বটতলা নামকস্থানে পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উল্লেখিত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, হকিষ্টক, লোহার রড, লাঠি নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর সহ নেতাকর্মীদের আহত করে ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল গুলো অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয়রা বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে।
কুসুম্বি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও এই মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গোলাপ বলেন, আওয়ামীলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে থানায় পাহারা বসিয়েছিল যার ফলে আমরা মামলা করতে পারিনি।
কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকারের পতন ঘটলে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আমি মামলাটি দায়ের করি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, মামলা হওয়ার পরপরই জামিল উদ্দিন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছেন।