ধুনটে প্রেমিকার মামলায় প্রেমিক আটক
- আপডেট সময় : ০৬:২৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার ধুনটে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগলকে হাতেনাতে জনতা আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করতে চাইলে অনেকটাই জনতার রোষানলে পড়ে ধুনট থানা পুলিশ। রবিবার ১৩ অক্টোবর উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের সোনাহাটা পাড়া এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার ভেলাবাড়ি গ্রামের প্রবাস ফেরত সাদ্দাম হোসেন (২৫) এর বাবার সাথে ধুনট উপজেলার শিয়ালী গ্রামের সোনাহাটা পাড়ার রুবেল হোসেনের সখ্যতা ছিলো। এদিকে রুবেল মিয়ার স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে বাজারের পাশেই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসাসহ দর্জির কাজ করে। মেয়ের বাবা রুবেল মিয়ার সাথে সখ্যতা থাকার কারনে প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো সাদ্দাম হোসেন। একপর্যায়ে রুবেল মিয়ার স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ের সাথে সাদ্দাম হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকাল অনুমান ১০ টার দিকে প্রেমিকার দর্জির দোকানে সাক্ষাৎ করতে আসে সাদ্দাম হোসেন। সাক্ষাতের একপর্যায়ে উভয়ই অতি আবেগে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
স্থানীয় জনতা বিষয়টি বুঝতে পেরে হাতেনাতে প্রেমিক যুগলকে আটক করে। দিনব্যাপী যুগল দুই পক্ষের মাঝে নানা দরবার বৈঠক হতে থাকে। প্রেমিক সাদ্দাম হোসেনকে জিম্মি ও জোর জবরদস্তি করে বিবাহ করানো হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সন্ধ্যা অনুমান ৬ টায় ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বিষয়টি আইনী ভাবে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য প্রেমিক সাদ্দাম হোসেনকে থানা হেফাজতে নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা অবস্থায় প্রেমিক যুগলকে বিবাহ দেবে মর্মে পুলিশী হেফাজত থেকে প্রেমিক সাদ্দাম হোসেনকে ফেরত চেয়ে পুলিশের সাথে রাতভর নানা আলোচনা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত অনুমান আড়াই টার দিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দেয়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম জানান, এ ঘটনায় শিয়ালী গ্রামের সোনাহাটা পাড়ার রুবেল হোসেনের মেয়ে বাদি হয়ে নারী শিশু আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার আসামি হিসেবে সাদ্দাম হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ জনতার রোষানলে পড়েছিল বা অবরুদ্ধ হয়েছিল এমন তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান।