ধুনটে ইমামকে মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার ধুনটে ইমাম মুসল্লিদের মারধরের ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে বিশ্বহরিগাছা গ্রামবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মান্নান। সে উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বাটিকাবাড়ী গ্রামের মৃত মোকলেছার রহমানের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ধুনট উপজেলার অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিশ্বহরিগাছা খান বাহাদুর সালেহা মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম এবং মাদ্রাসার মৌলভী। মসজিদটি নির্মাণে সম্পূর্ন আর্থিক সহায়তা দান করেন খান কুদরত-ই-সাকলায়েন, তার স্ত্রী প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব বেগম নাজমা খানম এবং পরিবারের অন্যান্যরা। ২০২০ সালে মাদ্রাসার জমিতে মসজিদ নির্মান কাজের শুরু থেকেই ইকবাল কায়েস নয়ন এবং রায়হান জড়িত ছিল। মসজিদ নির্মাণ কালে ইকবাল কায়েসের কাছে মসজিদ নির্মাণ কাজের অর্থ জমা থাকায় সে তার চাচা রাশেদ এবং রায়হান মসজিদের বেশ কিছু টাকা আত্মসাৎ করায় মসজিদের নির্মাণ কাজ থেকে তাদের বিরত রাখা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের বিরোধিতা করতে থাকে। ২০২৩ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলে মসজিদের ভিতরে ঢুকে ইমরুল কায়েস ও ইমরান কায়েস গং সুইচ বোর্ড, মিটার বোর্ড ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ভাংচুর করে এবং মসজিদে পায়খানা করে। এবিষয়ে গত ৪ মে ২০২৩ সালে থানায় একটি জিডি করা হয়। যার নং ২৪৮। পরবর্তিতে আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে কিল-ঘুষি মেরে মসজিদের গেটের চাবি নিয়ে মসজিদ তালাবদ্ধ করে। এ বিষয়ে ১১ আগষ্ট ২০২৪ সালে আরেকটি জিডি করা হয়। যার নং ৩৯০।অতঃপর রেজানুর ইসলাম ঠান্ডুর নেতৃত্বে ইমরান কায়েস ও ইমরুল কায়েস ভাই ভাতিজারা, মসজিদের মুসল্লী রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করার বিষয়ে ১১ আগষ্ট ২০২৪ সালে থানায় ৩৮৯ নং জিডি করা হয়। গত ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজের পর রেজানুর ইসলাম ঠান্ডুর নেতৃত্বে ইমরান কায়েস, রাসেদুল ইসলাম ও তার ভাই, ভাতিজারা মসজিদে ঢুকে এলাপাতাড়ী কিলঘুষি মারে। এ সময় মসজিদের সভাপতি সাকলায়েন ও অন্যান্য মুসল্লীগণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে মসজিদের গেটের ছিটকানি আটকাইয়া দিলে তারা লাঠি দিয়ে দরজা ও জানালায় আঘাত করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে এবং আমাদের সকলের জুতা নিয়ে যায়। পরে ধুনট থানার ওসিকে টেলিফোন করা হলে তিনি আমাদেরকে উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌছিয়ে নামিয়ে দেয়। সর্বশেষ ৪ জানুয়ারী রেজানুর ইসলাম ঠান্ডুর হুকুমে ইমরুল কায়েস, ইমরান কায়েস, ইকবাল কায়েস এবং আমজাদ শেখ আমাকে লাথি ও কিল ঘুষি মারে এবং টেনে হিচড়ে নিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। মুসুল্লী আব্দুস সালামকে বেধড়ক মারধর করে। এভাবে বার বার তারা ইমাম ও মুসুল্লীদেরকে মারধর এবং নামাজ পড়তে আসাতে বাধা প্রদান- করছে। আমাকে হত্যাসহ মারধরের ভয় দেখায় বিধায় আমি মসজিদে ইমামতি করতে যেতে পারছি না। এমতাবস্থায়, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের নিকট ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের খান বাহাদুর সালেহা জামে মসজিদে ভাংচুর ও আক্রমন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী, ইমাম মুয়াজ্বীনকে মারধরকারী এবং মসজিদে তালা প্রদানকারী রেজানুর ইসলাম ঠান্ডুর সন্ত্রাসী ভাই ভাতিজা রাশেদ, রায়হান, ইমরুল, এনামুল, নয়ন ও রনির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি। এবিষয়ে ইমরুল কায়েস বলেন, মসজিদে ঈমামকে নামাজ পড়তে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ওই ঈমাম মানসিক ভাবে অসুস্থ। আমাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম জানান, বিশ্বহরিগাছা খান বাহাদুর সালেহা মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমামকে মারধরের বিষয়টি অবগত আছি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন বাদি পক্ষ প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলন করতেই পারে।