ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধুনটে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব দুই কৃষক পরিবার, চেয়েছেন সরকারি সহায়তা

সুমন হোসেন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার ধুনটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে দুই কৃষক পরিবারের ৪টি বসতঘর‌, ৩টি গোয়ালঘর, ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র ও খাদ্যসামগ্রী সহ নগদ অর্থ পুড়ে ছাই গেছে।

রবিবার ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ী আলতাফ নগর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ি আলতাফ নগর গ্রামের হাবিল মন্ডলের ছেলে কৃষক পাভেল মণ্ডলের বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাভেল ও প্রতিবেশী এলাহি বক্সের ছেলে রাজিবুল ইসলামের বসতঘরে আগুন ধরে দুইজনের ৪টি বসতঘর, ৩টি গোয়ালঘর ও ঘরে থাকা মালামাল সহ নগদ অর্থ পুড়ে যায় ছাই হয়ে যায়।

ধুনট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতবাড়ি, ৩টি গোয়ালঘর সহ ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

অগ্নিকান্ডে দুই কৃষক পরিবারের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাভেল ও রাজিবুল বলেন, আগুন আমাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ধার-দেনা করে চাষাবাদ করতাম। এনজিও থেকে ঋণ নেয়া আছে। বসতঘর, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে। এজন্য তিনি সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন।

পরে সোমবার সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দুই কৃষক পরিবারের পাশে দাড়ানোর আশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

ধুনটে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব দুই কৃষক পরিবার, চেয়েছেন সরকারি সহায়তা

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বগুড়ার ধুনটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে দুই কৃষক পরিবারের ৪টি বসতঘর‌, ৩টি গোয়ালঘর, ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র ও খাদ্যসামগ্রী সহ নগদ অর্থ পুড়ে ছাই গেছে।

রবিবার ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ী আলতাফ নগর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ি আলতাফ নগর গ্রামের হাবিল মন্ডলের ছেলে কৃষক পাভেল মণ্ডলের বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাভেল ও প্রতিবেশী এলাহি বক্সের ছেলে রাজিবুল ইসলামের বসতঘরে আগুন ধরে দুইজনের ৪টি বসতঘর, ৩টি গোয়ালঘর ও ঘরে থাকা মালামাল সহ নগদ অর্থ পুড়ে যায় ছাই হয়ে যায়।

ধুনট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতবাড়ি, ৩টি গোয়ালঘর সহ ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

অগ্নিকান্ডে দুই কৃষক পরিবারের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাভেল ও রাজিবুল বলেন, আগুন আমাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ধার-দেনা করে চাষাবাদ করতাম। এনজিও থেকে ঋণ নেয়া আছে। বসতঘর, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে। এজন্য তিনি সরকারি সহায়তা কামনা করেছেন।

পরে সোমবার সকালে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দুই কৃষক পরিবারের পাশে দাড়ানোর আশ্বাস দেন।