দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজের নির্মাণকাজে ধীরগতি: চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী
- আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর-শাহাগোলা রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ। বিশেষ করে চলাচলের জন্য তৈরি করা কাঠের একটি নিচু ফুটওভার সেতু পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষক ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বর্তমানে খালটি পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা পথচারীদের। স্থানীয় জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রীজ প্রকল্পের আওতায় শাহাগোলা ইউপি ভবানীপুর-শাহাগোলা স্টেশন বাজার রাস্তায় ২০মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। গত বছরের নভেম্বর মাসের ০৯তারিখে ব্রিজ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং চলতি মাসের ১৪ তারিখে কাজটি সমাপ্ত করার কথা। সে অনুযায়ী কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদার পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে ফেলেন। এরপর নাম মাত্র নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ সেখানে হয়নি। এদিকে বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে যাওয়ার অজুহাতে নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। কাজ শুরুর আগে চলাচলের জন্য ঠিকাদার স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। যা খালে একটু পানি বৃদ্ধি পেতেই পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়তই পারাপারে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শ্রীরামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন, ভবানীপুর গ্রামের সুজন, আব্দুর রশিদ, তারাটিয়া গ্রামের ডিএস জাহিদসহ অকেকেই জানান , শাহাগোলা, ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তা। এই রাস্তার তারাটিয়া ব্রীজ ভেঙে ফেলায় থমকে পড়েছে এই অঞ্চলের জীবনযাত্রা। শুষ্ক মৌসুমে ব্রীজটি ভেঙে ফেলা হলেও দ্রুত কাজ না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমরা পরিবহন করতে পারছি না। এ কাজের ঠিকাদার দিদারুল ইসলাম জানান বন্যার পানি নেমে গেলেই আমরা কাজ শুরু করবো। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর হতে কাজ শেষের মেয়াদ বৃদ্ধি আমাদের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে আত্রাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেনরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন উঠাননি। নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ জানান বর্ষা মৌসুমে ওই খালে পানি জমে থাকার কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে পানি নেমে গেলেই ঠিকাদারকে আমরা কাজটি করতে বাধ্য করবো। এখানে ঠিকাদারের লাপাত্তার কোন সুযোগ নেই।