জয়পুরহাটে ২৯০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব ঘীরে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটে ২৯০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব ঘীরে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ঘীরে এ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এখন শুধুই চলছে সাজ সাজ রব।
জেলার পূজা মণ্ডপ গুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের তুলির আঁচড়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় উৎসব উদযাপনের জন্য সরকারি ভাবে প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য ইতোমধ্যেই ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এ উৎসবকে ঘীরে ঢাকের তালে শিল্পীর কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ জেলায় এসেছেন দেবী তৈরীর কারিগরেরা।রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা প্রতিমা তৈরী নিয়ে।
জেলায় সরেজমিন বিভিন্ন ঘুরে কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায় , খড়,কাঠ, সুতা আর মাটি দিয়ে নিপূণ হাতে কারিগররা তৈরী করছেন এ প্রতিমা।পূজার দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে,শিল্পীদের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে।কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা,লক্ষ্মী,সরস্বতী,গণেশ-কা
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ২শ ৯০টি মন্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন চলছে।এর মধ্যে সদরে ১১৩ ,কালাই ২৩ , ক্ষেতলাল ৪০ ,আক্কেলপুর ৩৮ও জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় ৭৬ টি পূজা মন্ডপে রয়েছে।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাড: স্বপন তালুকদার বলেন,প্রত্যেক মণ্ডপে আমাদের নিজস্ব সেচ্ছা সেবক দল কাজ করছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।এ ছাড়াও বিএনপি,জামায়াত সহ অন্যান্য দলগুলোও যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ হৃষিকেশ সরকার।
জয়পুরহাটে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, প্রতিটি পুজা মন্ডপে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। সাধারণ পুলিশ সহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও ভিডিপি সদস্যরাও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।মাঠে সেনাবাহিনীর মোবাইল টিম কাজ করবে বলেও জানান তিনি।পুজার সার্বিক নিরাপত্তা ও মনিটরিং জোরদার করার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান,সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদ্যাপন করতে পারেন সেজন্য সরকারি ভাবে প্রতিটি মন্ডপের জন্য ইতোমধ্যে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে জেলার সবখানে।এ ছাড়া ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুূর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী, ১২ অক্টোবর নবমী এবং ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও ওই দিন প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্যে দিয়ে ৫ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুর্গপূজার উৎসব সমাপ্তি ঘটবে বলে জানান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডঃ হৃষিকেশ সরকার।