ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার মাটিডালীতে ১হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত আদমদীঘিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন ধুনটে জনপ্রতিনিধির দলকে হারিয়ে উপজেলা প্রশাসন বিজয়ী ধুনটে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলার মধ্য দিয়ে ৬৭তম মাড়াই মওসুমের শুরু নাচোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত সিরাজগঞ্জে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানালো সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব শহর বিএনপির আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নওগাঁ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতের রেকর্ড থেকে রায় আদেশ গায়েব

এম.এ.জলিল রানা,জয়পুরহাট:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতে রায় প্রচার পরবর্তীতে আদালতের রেকর্ড থেকে মিস আপীল নামীয় ২০/২০১৭ নং মামলাটির রায়ের আদেশ গায়েব।

‘ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল’ওয়াকফ এস্টেট, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট এর বর্তমান মোতাওয়াল্লী ভূক্তভোগী মোঃ মাহবুবুর রহমান শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে এ তথ্য জানিয়েছেন ।
বর্তমান মোতাওয়াল্লীর ভাই,সাবেক মোতাওয়াল্লী,মেহেদী মির্জা লুলু’র মৃত্যুর পর ২০১৫ মোতাওয়াল্লী পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে জনৈক আবুল কালাম ও আজাহার আলী মন্ডল,সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী চক্রের নির্দেশ দাতার মদদে ও কু-পরামর্শে তার(বর্তমান মোতাওয়াল্লী)র বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা,হামলাসহ ওয়াকফ সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখলের ন্যায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে চলেছে।অথচ তারা মোতাওয়াল্লী হওয়ার জন্য ওয়াকফ বোর্ডে কখনো আবেদন করেননি।

সবশেষ দেশের সর্বোচ্চ আদালত,মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে মো:মাহবুবুর রহমান কে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রাখা সত্বেও সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের ভুল ব্যাখ্যায় ও ফোরামে তামাদি আইনের লংঘন করে জেলা জজের তৎকালীন অসাধু পেশকারের সহযোগীতায় ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে সু-কৌশলে;জেলা জজ আদালত, জয়পুরহাটে মিস আপীল নামীয় ২০/২০১৭ নং মামলা দায়ের করেন।সাময়িক ভাবে গৃহীত হলেও মামলাটির গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়ে চুড়ান্ত ভাবে শুনানি ব্যাতীরেকে জেলা জজ আদালত থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে মামলাটি বদলি হয়,এর পর আবার ২৪ ধারায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও জেলা জজ আদালতে বদলি করেন,সেখান থেকে পুণরায় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে মামলাটি বদলি হয়।এভাবে ৪ বছর ৫ মাসে ৪০ বারের অধিক শুনানি অন্তে গত ১০/০৩/২০২২ ইং তারিখে জয়পুরহাটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত-১ম এর জাজ গোলাম সরোয়ার মামলাটির রায় আদেশ প্রদান করেন।

অত:পর রায় আদেশের সার্টিফাইড কপির জন্য আমি এ্যাড:এম হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরী’র সাক্ষরিত নকলের দরখাস্ত নকল খানায় জমা দেই।সেমতে রায় প্রচার পরবর্তীতে গত ১৬/০৩/২০২২ ইং তারিখে কোর্ট থেকে আমাকে (মোতাওয়াল্লী)কে রায় আদেশের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করা হয়।মিস আপীল নামীয় ২০/২০১৭ নং মামলাটির আইনগত ভিত্তি না থাকায় আপীল টি না-মন্জুর হয়।কোর্ট থেকে সার্টিফাইড কপি সরবরহের ৫(পাঁচ) মাস পর আপীলেন্ট আজাহার আলী কর্তৃক জবর দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আমি(মোতাওয়াল্লী) ডি,সি,অফিস,জয়পুরহাট এ আসলে জানতে পারি যে,রায় ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও ২০/২০১৭ নং মিস আপীল মামলাটির তারিখ চলমান রয়েছে এবং বাদী আজাহার আলী ও তার সংঘবদ্ধ চক্রের দ্বারা প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে আরও জানতে পারি যে,আদালতের রেকর্ড থেকে মামলাটির রায় আদেশ গায়েব হয়ে গেছে,খঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

আদালতের রেকর্ড থেকে মামলার রায় আদেশ গায়েব হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।বিষয়টি একদিকে যেমন আদালত ও প্রশাসনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে,তেমনিভাবে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও দূর্বল করে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে জানিয়েছেন,মোতাওয়াল্লী মোঃ মাহবুবুর রহমান।

মুঠো ফোনে মিস আপীল মামলার বাদী আজাহার আলীর কাছে মামলার রায় আদেশ গায়েবের বিষয়ে জানতে চাইলে,রায়ের আদেশ গায়েব হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
একই বিষয়ে আদলতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেনকে
মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন,কেউ যদি রায় আদেশ গায়েব করে কি করবেন?কেউ যদি গায়েব করে থাকে কারার কি আছে?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতের রেকর্ড থেকে রায় আদেশ গায়েব

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতে রায় প্রচার পরবর্তীতে আদালতের রেকর্ড থেকে মিস আপীল নামীয় ২০/২০১৭ নং মামলাটির রায়ের আদেশ গায়েব।

‘ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল’ওয়াকফ এস্টেট, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট এর বর্তমান মোতাওয়াল্লী ভূক্তভোগী মোঃ মাহবুবুর রহমান শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে এ তথ্য জানিয়েছেন ।
বর্তমান মোতাওয়াল্লীর ভাই,সাবেক মোতাওয়াল্লী,মেহেদী মির্জা লুলু’র মৃত্যুর পর ২০১৫ মোতাওয়াল্লী পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে জনৈক আবুল কালাম ও আজাহার আলী মন্ডল,সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী চক্রের নির্দেশ দাতার মদদে ও কু-পরামর্শে তার(বর্তমান মোতাওয়াল্লী)র বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা,হামলাসহ ওয়াকফ সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখলের ন্যায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে চলেছে।অথচ তারা মোতাওয়াল্লী হওয়ার জন্য ওয়াকফ বোর্ডে কখনো আবেদন করেননি।

সবশেষ দেশের সর্বোচ্চ আদালত,মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে মো:মাহবুবুর রহমান কে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রাখা সত্বেও সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের ভুল ব্যাখ্যায় ও ফোরামে তামাদি আইনের লংঘন করে জেলা জজের তৎকালীন অসাধু পেশকারের সহযোগীতায় ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে সু-কৌশলে;জেলা জজ আদালত, জয়পুরহাটে মিস আপীল নামীয় ২০/২০১৭ নং মামলা দায়ের করেন।সাময়িক ভাবে গৃহীত হলেও মামলাটির গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়ে চুড়ান্ত ভাবে শুনানি ব্যাতীরেকে জেলা জজ আদালত থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে মামলাটি বদলি হয়,এর পর আবার ২৪ ধারায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও জেলা জজ আদালতে বদলি করেন,সেখান থেকে পুণরায় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে মামলাটি বদলি হয়।এভাবে ৪ বছর ৫ মাসে ৪০ বারের অধিক শুনানি অন্তে গত ১০/০৩/২০২২ ইং তারিখে জয়পুরহাটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত-১ম এর জাজ গোলাম সরোয়ার মামলাটির রায় আদেশ প্রদান করেন।

অত:পর রায় আদেশের সার্টিফাইড কপির জন্য আমি এ্যাড:এম হেদায়েত উল্লাহ চৌধুরী’র সাক্ষরিত নকলের দরখাস্ত নকল খানায় জমা দেই।সেমতে রায় প্রচার পরবর্তীতে গত ১৬/০৩/২০২২ ইং তারিখে কোর্ট থেকে আমাকে (মোতাওয়াল্লী)কে রায় আদেশের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করা হয়।মিস আপীল নামীয় ২০/২০১৭ নং মামলাটির আইনগত ভিত্তি না থাকায় আপীল টি না-মন্জুর হয়।কোর্ট থেকে সার্টিফাইড কপি সরবরহের ৫(পাঁচ) মাস পর আপীলেন্ট আজাহার আলী কর্তৃক জবর দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আমি(মোতাওয়াল্লী) ডি,সি,অফিস,জয়পুরহাট এ আসলে জানতে পারি যে,রায় ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও ২০/২০১৭ নং মিস আপীল মামলাটির তারিখ চলমান রয়েছে এবং বাদী আজাহার আলী ও তার সংঘবদ্ধ চক্রের দ্বারা প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে আরও জানতে পারি যে,আদালতের রেকর্ড থেকে মামলাটির রায় আদেশ গায়েব হয়ে গেছে,খঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

আদালতের রেকর্ড থেকে মামলার রায় আদেশ গায়েব হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।বিষয়টি একদিকে যেমন আদালত ও প্রশাসনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে,তেমনিভাবে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও দূর্বল করে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে জানিয়েছেন,মোতাওয়াল্লী মোঃ মাহবুবুর রহমান।

মুঠো ফোনে মিস আপীল মামলার বাদী আজাহার আলীর কাছে মামলার রায় আদেশ গায়েবের বিষয়ে জানতে চাইলে,রায়ের আদেশ গায়েব হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
একই বিষয়ে আদলতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেনকে
মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন,কেউ যদি রায় আদেশ গায়েব করে কি করবেন?কেউ যদি গায়েব করে থাকে কারার কি আছে?