চার দশকের রাজনীতি ছাড়ে ইসলামী আন্দোলনে যোগদান
- আপডেট সময় : ০৬:২৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
চার দশকের অধিক রাজনীতি করে বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শাহ আলম পান্না। রবিবার রাতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেছেন। তিনি শেরপুর উপজেলা বিএনপি সদস্য ও উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। একই সময় শেরপুরপৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আজিজও যোগদান করেছেন।
এই যোগদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের শেরপুর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি মো. ইমরান খান। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দুইজন তাঁদের দলে যোগদানের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁদের হাতে দলীয় প্রতীক ‘হাতপাখা’ তুলে দেন। এরআগে ওই দুইজন তাঁদের দলীয় ঘোষণা পত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
জানা য়ায়, রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর খেলার মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে এক ওয়াজ মাহফিলে অনুষ্ঠিত হয়। এই ওয়াজ মাহফিলের প্রধান অতিথি ছিলেন এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করিম। এতে সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়ন নায়েবে আমির আল্লামা আবদুল হক আজাদ। আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল এই ওয়াজ মাহফিলে তারা এই দলের যোগদানের ঘোষণা দেন।
শাহ আলম পান্না ১৯৮৩ সালে ছাত্র অবস্থায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যোগদান করেন। ছাত্র জীবন শেষে বিএনপির শহর ও উপজেলা কমিটিতে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে উপজেলা বিএনপি কমিটির তিনি সদস্য পদে ছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। শেরপুরে বিএনপির রাজনীতিতে তাদের পরিবার ছিল অধিক পরিচিত।
ইসলামী আন্দোলনে বাংলাদেশ দলে যোগদান নিয়ে আজ সোমবার (৬ মে) দুপুরে মুঠোফোনে শাহ আলম ওরফে পান্না বলেন, বিএনপির চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের আদর্শ ভালো। মুসলমান হিসেবে আমাদের ইসলামের পথে থাকতে হবে। তাই আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলে যোগদান করেছি।
যোগদানকারী আবদুল আজিজের সাথে মুঠো যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্যে তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, শাহ আলম পান্না বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করেছিলেন। তিনি সবসময় বিএনপিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে স্বার্থ হাসিল করেছেন। শাহ আলম পান্না ও আবদুল আজিজের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করায় বিএনপির কোন ক্ষতি হবে না। বরং তাদের অনুপস্থিতে স্থানীয়ভাবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে।