ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদা না দেওয়ায় জোর পূর্বক টাকা ও ব্যবসায়ী কে তুলে নিয়ে যায় গোপন আস্তানায়!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির সহ সভাপতির ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালিয়ে টাকা সহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা 

দূর্বৃত্তরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি  করলে দোকানের মালিক সাঈদ হোসেন বাবুল চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসময় দূর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালিয়ে দোকানে থাকা ব্যবসার টাকা লুট  পাট করে। তার পরেও তারা ক্ষান্ত হননি। অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে  বাবুলকে তারা তুলে নিয়ে যায় পীরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুর আস্তানায়। 

পরে বাবুলের পিতা জানতে পেরে তাৎক্ষনিক সাবেক ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে বাবুল এবং দোকানের কর্মচারী সোহাগকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে

পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।

ঘটনাটি ঘটে ১৬ অক্টোবর রাত্রী সাড়ে ৯ টায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগড়া এলাকায়।

সরেজমিনে তদন্ত কালে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এশিয়ান টিভি, দৈনিক দৃষ্টি পত্রিকা কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্যবসায়ী বাবুলের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বেধর মারপিট করে ক্যাসে থাকা টাকা লুট করে তাকে তুলে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।

এনিয়ে ভিকটিমের বড়ভাই সালাম বাদী হয়ে যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি বলেন অভিযোগের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলাটি রুজু করা হয়নি। এমন অভিযোগ করলেন ভারপ্রাপ্ত ওসি বিদুৎ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

ভিকটিমের পিতা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, সন্ত্রাসীরা তার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে বেধর মারপিট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকা লুট করে । পরে বাবুলকে যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুর আস্তানায় অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে  বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কাছে অন্যায়কারী নাজমুল হুদা মিঠুসহ তার সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে  বিচারের দাবি জানিয়েছে।

অভিযুক্ত যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুর সাথে মুঠো ফোনে ঘটনাটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না এমন মন্তব্য করলেন সাংবাদিকের কাছে।

ভাপ্রাপ্ত ওসি বিদুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, অভিযোগ হয়েছে, চিকিৎসার ছাড়পত্র না পাওয়ায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সাবেক সাংসদ জাহিদুর রহমান জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা আমাদের যুবদল এবং ছাত্রদলের ছেলে। ভিকটিমকে মিঠুর আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

চাঁদা না দেওয়ায় জোর পূর্বক টাকা ও ব্যবসায়ী কে তুলে নিয়ে যায় গোপন আস্তানায়!

আপডেট সময় : ১১:৫৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির সহ সভাপতির ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালিয়ে টাকা সহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা 

দূর্বৃত্তরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি  করলে দোকানের মালিক সাঈদ হোসেন বাবুল চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসময় দূর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালিয়ে দোকানে থাকা ব্যবসার টাকা লুট  পাট করে। তার পরেও তারা ক্ষান্ত হননি। অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে  বাবুলকে তারা তুলে নিয়ে যায় পীরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুর আস্তানায়। 

পরে বাবুলের পিতা জানতে পেরে তাৎক্ষনিক সাবেক ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে বাবুল এবং দোকানের কর্মচারী সোহাগকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে

পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।

ঘটনাটি ঘটে ১৬ অক্টোবর রাত্রী সাড়ে ৯ টায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগড়া এলাকায়।

সরেজমিনে তদন্ত কালে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এশিয়ান টিভি, দৈনিক দৃষ্টি পত্রিকা কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্যবসায়ী বাবুলের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বেধর মারপিট করে ক্যাসে থাকা টাকা লুট করে তাকে তুলে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।

এনিয়ে ভিকটিমের বড়ভাই সালাম বাদী হয়ে যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি বলেন অভিযোগের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলাটি রুজু করা হয়নি। এমন অভিযোগ করলেন ভারপ্রাপ্ত ওসি বিদুৎ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

ভিকটিমের পিতা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, সন্ত্রাসীরা তার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে বেধর মারপিট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকা লুট করে । পরে বাবুলকে যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুর আস্তানায় অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে  বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কাছে অন্যায়কারী নাজমুল হুদা মিঠুসহ তার সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে  বিচারের দাবি জানিয়েছে।

অভিযুক্ত যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা মিঠুর সাথে মুঠো ফোনে ঘটনাটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না এমন মন্তব্য করলেন সাংবাদিকের কাছে।

ভাপ্রাপ্ত ওসি বিদুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, অভিযোগ হয়েছে, চিকিৎসার ছাড়পত্র না পাওয়ায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সাবেক সাংসদ জাহিদুর রহমান জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা আমাদের যুবদল এবং ছাত্রদলের ছেলে। ভিকটিমকে মিঠুর আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।