কেজি প্রতি ধান সাড়ে ৩৭ টাকা ক্রয়ের দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
“কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাচাও ’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ধানের দাম কেজি প্রতি ন্যূনতম সাড়ে ৩৭ টাকা সরকারি ক্রয় মূল্য নির্ধারণের দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় কৃষক সমিতির নেতারা ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু, দখলকৃত খাসজমি উদ্ধারসহ ১২ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির আয়োজনের এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
প্রথমে উদীচী কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেয়। এরপর সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় ও স্থানীয় কৃষকের ১২ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করেন। পরে মিছিলটি চৌরাস্তায় গিয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন, সহসাধারণ সম্পাদক সুকান্ত সফি চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মোর্তুজা আলম, সংহতি বক্তব্য রাখেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.আবু সায়েম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রধান বুনিয়াদ কৃষি। পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি কৃষির উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। দেশে আমন ধান কিছু দিনের মধ্যেই কাটা শুরু হবে। প্রতিবছর ধানের দাম সরকার নির্ধারণ করলেও ধানসহ পাট, গমের লাভজনক দাম কৃষক পাচ্ছে না। সম্প্রতি দফায় দফায় সার, জ্বালানি তেল ও কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে ফসলের দাম পাচ্ছে না।
নেতারা আরও বলেন ন্যূনতম ১৫০০ টাকা মণ দরে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, ধান-গম-পাট-সবজিসহ ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত, অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু, সারের বর্ধিত দামসহ বীজ-কীটনাশক সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানো, সবজি সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, বিএডিসিকে দুর্নীতিমুক্ত ও সচল করা এবং শস্য বীমা চালুর দাবি জানান তারা।
নেতারা বলেন কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে কৃষক সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তীতে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে হবে বরে জানান বক্তারা।